বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: ছেলেদের ফুটবল যখন নির্বাসনে, তখন আশার আলো হয়ে জ্বলতে শুরু করেছে মেয়েদের ফুটবল। প্রায় সব ধরনের প্রতিযোগিতায় মেয়েদের সাফল্য চোখে পরার মতো। ব্যতিক্রম ছিল না সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ আসর।
সেমিফাইনাল খেলার লক্ষ্য নিয়ে গিয়ে ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের মতো দলকে উড়িয়ে দিয়ে ও ভারতের মতো দলকে রুখে দিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। তখন স্বপ্নের রঙ ছড়াতে শুরু করেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা।
সেমিফাইনালে মালদ্বীপের হালে অর্ধডজন গোল দিয়ে স্বপ্নটা আরো বড় হয় বাংলাদেশের কোটি কোটি ফুটবলপ্রেমীদের। ছেলেদের ফুটবলের ব্যর্থতায় যারা হতাশ ও মুষড়ে পড়েছিলেন তারাও আশায় বুক বেঁধেছিলেন। তাহলে ২০০৩ সালে ছেলেদের পর এবার মেয়েদের হাতেও উঠতে যাচ্ছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা! গ্রুপপর্বে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ এমন স্বপ্ন দেখতে সাহস জুগিয়েছিল বাংলাদেশের মানুষকে।
কিন্তু ফাইনালে স্বপ্নের রঙ-তুলির শেষ আচড়টি দিতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ ভারতের মেয়েদের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারেনি সাবিনা-স্বপ্নারা। মূলত অভিজ্ঞতার কাছেই হেরেছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে চারবার ফাইনাল খেলা ভারতের মেয়েদের সঙ্গে প্রথমার্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছে বাংলাদেশ। ১১ মিনিটে ভারত প্রথম গোল করে এগিয়ে যায়। গোলটি করেন দাঙ্গেমি। ৩৮ মিনিটে বাংলাদেশের সিরাত জাহান স্বপ্নার দারুণ গোলে ম্যাচে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। সমতা নিয়েই শেষ হয় প্রথার্ধের লড়াই।
দ্বিতীয়ার্ধে কৌশল বদলে খেলতে নামে ভারত। আর সেই কৌশলে ধরাশায়ী হয় বাংলাদেশ। ম্যাচের ৬১ মিনিটে পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন সুস্মিতা (২-১)। আর ৬৬ মিনিটে ইন্দুমতির গোলে ব্যবধান হয় ৩-১। বাকি সময়ে এই গোল আর শোধ দিতে পারেনি বাংলাদেশ। ফলে রানার্স-আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় বাংলাদেশের মেয়েদের।
এর ফলে মহিলা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের টানা চতুর্থ শিরোপা ভারতের শোকেসে উঠল। অন্যদিকে অধরাই থাকল বাংলাদেশের শিরোপার স্বপ্ন।
এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো ফাইনাল খেলল ভারত। আগের তিন আসরের শিরোপা তারাই জিতেছিল। এবারও তারাই জিতল। অন্যদিকে প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলছে বাংলাদেশ। প্রথম শিরোপা জিততে মরিয়া বাংলাদেশের হাতে ধরা দেয়নি শিরোপা।
উল্লেখ্য, সাফে বাংলাদেশ দলকে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে ক্রীড়াবান্ধব প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপ।
বাংলা৭১নিউজ/এন