দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মোখা আরও শক্তিশালী হয়ে কক্সবাজারের দিকে এগিয়ে আসছে। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, বর্তমানে এ ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য গন্তব্য কক্সবাজার। জেলার টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপসহ মিয়ানমারের উপকূল এবং এর আশপাশের ওপর দিয়ে বয়ে যাবে ঝড়টি।
এদিকে কক্সবাজারসহ দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
কক্সবাজার উপকূলের মধ্যে কুতুবদিয়া ধলঘাটা মাতারবাড়ী দ্বীপে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ রয়েছে। এতে ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সব উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জেলার উপকূলীয় এলাকার ৬০০ সাইক্লোন শেল্টার ও বিদ্যালয় প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নগদ ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ৪৯০ মেট্রিক টন চাল, ৭ মেট্রিক টন শুকনো খাবার, ১৯৪ বান্ডিল ঢেউটিন মজুত রাখা হয়েছে।
কক্সবাজারের যেসব জায়গায় লবণ উৎপাদন হয়, সেসব এলাকার মাঠে থাকা লবণ সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের সতর্কতার সঙ্গে গোসল করতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে সৈকতে টুরিস্ট পুলিশ ও লাইফগার্ডের কর্মীদের সার্বক্ষণিক নজরদারি ককরতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
টুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার শেহরিন আলম জানিয়েছেন, সৈকতে আগত পর্যটকদের পানিতে নামতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ দৌজা নয়ন জানিয়েছেন, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ৩৩টি শরণার্থী ক্যাম্প রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোখার সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সকালে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তুতি সভা হয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে আগামী এক সপ্তাহ সাগর উত্তাল থাকবে। গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এবি