লালমনিহাটের হাতীবান্ধায় রেলওয়ের পুকুরের ওপর গড়ে ওঠা নির্মাণাধীন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। তবে অভিযানকালে স্থানীয় সংসদ সদস্যের আশ্বাসে পরবর্তীতে উচ্ছেদ বন্ধ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে উপজেলার বড়খাতা রেলস্টেশনের পাশে রেলওয়ে পুকুরের ওপরে গড়ে ওটা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। রেলওয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট স্টাফ অফিসার আব্দুর রাজ্জাক এ উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
লালমনিরহাট রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা রেলস্টেশনের পাশে রেলওয়ে পুকুরের ওপর কয়েকজন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করছিলেন। সেখানে মৌখিকভাবে তাদের সতর্ক করা হলেও দখলদাররা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অন্যদিকে বড়খাতা রেল স্টেশনের পশ্চিম দিকে পুকুরটি লিজ নেয় রেলওয়ের সাবেক কর্মচারী বুলু মাস্টার।
বুলু মাস্টারের ছেলে সুমন মিয়া বলেন, ওই পুকুরটি ৪০ বছর ধরে আমরা রেল কর্তৃপক্ষের কাছে লিজ নিয়েছি। এখন স্থানীয়রা পুকুরটির ওপর জোর করে দখল ধরে স্থাপনা তৈরি করছে। এখানে আমাদের করার কিছুই নেই।
এ বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বড়খাতা রেলওয়ে পুকুরের ওপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন এমপির আশ্বাসে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করা হয়। সেখানে আর অবৈধ স্থাপনা থাকবেনা না বলে আশ্বাস দেন।
তিনি আরও বলেন, এটা রেলওয়ের নিয়মিত অভিযান। রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি রক্ষায় এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ