শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:২৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুলসহ ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশের দাবিতে লিফলেট বিতরণ এবার কারও পক্ষ নিয়ে কাজ করলে অসুবিধা হবে : কর্মকর্তাদের সিইসি অল্প কিছুদিনের মধ্যে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: মির্জা ফখরুল ইসলামী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা চুরি শেখ হাসিনার দুর্নীতি খুঁজে বের করতে টাস্ক ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত ডিএমপির ১২ ডিসিকে বদলি ‘বৃহত্তর ইসরাইলের’ মানচিত্র প্রকাশ, আরব দেশগুলোর কড়া প্রতিবাদ বিমানবন্দরে রক্তাক্ত সেই প্রবাসীকে জরিমানা, হতে পারে জেলও ৩০ জুনের আগেই মহার্ঘভাতা ঘোষণা মানিকগঞ্জে ডিসির রুমের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান দাবি মানার আল্টিমেটাম দিয়ে ‌‌শাহবাগ ছাড়লেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা শরীয়তপুরে থানা থেকে ওসির মরদেহ উদ্ধার নিক্সন ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে ৩ হাজার ১৬২ কোটি টাকা লেনদেন শহীদ মিনারের পর শাহবাগ অবরোধ বিডিআর সদস্যের স্বজনদের জেনেভা ক্যাম্পের আলোচিত সন্ত্রাসী চুয়া সেলিম গ্রেপ্তার মা‌র্কি‌নিদের হয়ে ঢাকায় বিশেষ দা‌য়িত্ব সামলাবেন ট্র্যাসি জ্যাকবসন বিসিএসে বাদ পড়া ২২৭ জনের বেশিরভাগই চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন রাশিয়ায় বিমানবাহিনীর তেলের ডিপোয় ইউক্রেনের হামলা হাইভোল্টেজ ম্যাচে টস জিতে বরিশালকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো রংপুর

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুতেরেস ও কিম

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ২ জুলাই, ২০১৮
  • ১৩৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, কক্সবাজার প্রতিনিধি: মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গার জীবনাচরণ দেখতে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনি গুতেরেস ও বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছেছেন।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে তারা উখিয়ার রোহিঙ্গা ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে পরিচিত টিভি রিলে কেন্দ্র এলাকায় পৌঁছান। এর আগে বেলা ১০টার দিকে সৈকত পারের কলাতলীর তারকা হোটেল সায়মন বিচ রিসোর্ট থেকে তাদের গাড়ি বহর বের হয় এবং মেরিন ড্রাইভ হয়ে সড়ক পথে উখিয়ার পথে রওয়ানা হন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এবং বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম।

এরআগে সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তারা কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান।  তাদের সঙ্গে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক বৈশ্বিক সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি এবং জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল বিষয়ক নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া খানেমসহ জাতিসংঘের অধীন বিভিন্ন সংস্থার প্রায় ডজন খানেক এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছার পর ভারি বর্ষণ শুরু হওয়ায় বিশ্বের শীর্ষ দুই প্রতিষ্ঠান প্রধান বিমান বন্দরেই কিছুক্ষণ অবস্থান নেন।  এরপর তাদের নিয়ে যাওয়া হয় সৈকত পারে হোটেল সায়মনে।  সেখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল জানান, জাতিসংঘ মহাসচিব ও বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ট ইউএনএইচসিআর’র বালুখালী ট্রানজিট ক্যাম্প, কুতুপালং মেইন রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং মহিলাদের আলাদা জায়গা পরিদর্শন করবেন।
রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া চরম দুর্দশার কথা শুনবেন তারা। এছাড়াও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সহযোগিতা দেয়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার ত্রাণ কেন্দ্র, চিকিৎসা সেন্টার ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখার কথা রয়েছে। পরিদর্শন শেষে কুতুপালং এক্সটেনশন ক্যাম্পের ডি-ফাইভ ব্লকে সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে। বিকেলে তারা ঢাকায় ফিরবেন বলে সিডিউল রয়েছে।

এছাড়াও এই সংক্ষিপ্ত সফরে কক্সবাজারে বৈশ্বিক সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত তুলে ধরবেন অ্যান্তোনিও গুতেরেস এবং জিম ইয়ং কিম। জাতিসংঘ মহাসচিব ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট আলাদা ফ্লাইটে ঢাকা এলেও তারা বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে এক সঙ্গে অংশ নিচ্ছেন।

সূত্র জানায়, এর আগে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র প্রধান থাকাকালীন ২০০৮ সালের ২৭ মে গুতেরেস কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছিলেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের দায়িত্ব নেয়ার পর বাংলাদেশে এটাই তার প্রথম সফর। তবে বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম দুই বছর আগেই একবার বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন। এর আগে দুদিনের সফরে শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন জাতিসংঘ মহাসচিব। আর তিনদিনের সফরে শনিবার বিকেলে ঢাকায় আসেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম।

উল্লেখ্য, বিগত কয়েক দশকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে পালিয়ে ৫ লাখের মতো রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। আর গত বছরের ২৫ আগস্ট এমনই এক অভিযানের মুখে রাখাইন থেকে নতুন করে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এখন প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা উখিয়া-টেকনাফে অবস্থান করছে। আর জতিসংঘ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওই অভিযানকে শুরু থেকেই ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ বলে আসছে। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকার গত বছরের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশের সঙ্গে একটি চুক্তি সই করলেও তা বাস্তবায়নে গড়িমসি করছে।  সৌজন্যে: জাগোনিউজ।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com