বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক : মিয়ানমারে সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ এবং সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের মাঝে কিভাবে সম্পর্ক উন্নয়ন করা যায় সে প্রচেষ্টা চালাতে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান এখন মিয়ানমারে।
মিয়ানমারের নতুন সরকার রোহিঙ্গা সম্পর্কিত যে নতুন কমিশন গঠন করেছে, কফি আনান সেটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি তার এ সফরে এ কমিশনের সদস্যদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
জাতিসংঘের সাবেক এ মহাসচিব এমন এক সময়ে মিয়ানমার সফর করছেন যখন দেশটিতে সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের কারণে হাজার-হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান তাদের ঘরবাড়ি থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে।
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা অভিযোগ করছেন, রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের হত্যা, ধর্ষণ এবং তাদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করছে।
রাখাইন রাজ্যে সংঘাত কিভাবে বন্ধ করা যায় এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ ও সংখ্যালঘু মুসলমানদের মাঝে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য মিয়ানমার সরকারকে পরামর্শ দেবেন কফি আনান।
মূলত মিয়ানমারের নোবেল বিজয়ী নেত্রী অং সান সুচির আগ্রহে কফি আনানকে এ কমিশনের প্রধান করা হয়েছে।
কফি আনান যদিও চেষ্টা করছেন মিয়ানমারের বৌদ্ধ এবং মুসলমানদের মাঝে সেতুবন্ধন তৈরি করতে কিন্তু বাংলাদেশে অবস্থানরত জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা এরই মধ্যে বলেছেন, পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, মিয়ানমারের সরকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্মূল করতে চায়।
কিন্তু কফি আনান তা কাজে কতটা সফল হবেন সেটি নিয়ে এরই মধ্যে অনেকের মনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধরা তার নেতৃত্বে কমিশনকে পছন্দ করছে না। তারা এর আগে এ কমিশনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও জানিয়েছিল।
প্রায় চারমাস আগে কফি আনানকে এ কমিশনের প্রধান করা হলেও তার কিছুদিন পরেই রাখাইন রাজ্যে নতুন করে সংঘাতের শুরু হয়।
রোহিঙ্গা মুসলমানদের অভিযোগ এবারের দমন-পীড়ন অতীতের যে কোনো মাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে।
মিয়ানমারের সরকার বলছে, কয়েকটি পুলিশ ক্যাম্পে হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা নিহত হবার পরে তারা এ অভিযান চালাচ্ছে। মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ অস্বীকার করছে মিয়ানমারের সরকার।
রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার ও নিপীড়নের অভিযোগ সত্ত্বেও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির নীরবতার কারণে অনেকে তার সমালোচনা করছেন।
সূত্র: বিবিসি বাংলা