হাতে ২ উইকেট রেখে শেষ ১২ বলে ২০ রানের সমীকরণ মেলানো যে কোনো দলের জন্যই কঠিন। দক্ষিণ আফ্রিকার যুবাদের জন্যও কাজটা কঠিন করে তোলে বাংলাদেশের যুবারা।
স্পিনার আরিফুল ইসলাম ৪৯তম ওভারের প্রথম বলে বোল্ড করেন অ্যাল্ডারকে। ওই ওভারের শেষ বলে আরিফুলের ফিল্ডিংয়ে রান আউট হন মাপহাকা। তাতে ১ ওভার আগেই জয় নিশ্চিত করে ফেলে স্বাগতিকরা।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচ ১৪ রানে জিতে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা ফেরালো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। এর আগে প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দল বৃষ্টি আইনে ১০ রানে ম্যাচ জিতেছিল।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ২৬৮ রান করে। জবাবে অতিথিরা ২৫৪ রানের বেশি করতে পারেনি।
বাংলাদেশের জয়ের নায়ক আরিফুল। বল হাতে ৬ ওভারে ৩৩ রানে ২ উইকেট নেওয়ার আগে ব্যাটিংয়ে ৬০ বলে ৪৮ রান করেন ৩ চার ও ২ ছক্কায়। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরার পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি।
ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন মোহাম্মদ শিহাব জেমস। ছয়ে নেমে ৭১ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান জেমস। এছাড়া ওপেনিংয়ে আদিল বিন সিদ্দিকের ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান।
বল হাতে প্রোটিয়া যুবাদের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন মাপহাকা ও পোটসানে।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। ৫১ রান তুলতেই হারায় ২ উইকেট। সেখান থেকে অধিনায়ক ডেভিড টিগার হাল ধরেন। তবে ভালো করতে পারেননি বাকিরা। তার একার ৭৫ রানে বাংলাদেশ শিবিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল ঠিকই।
রান আউটে টিগার আউট হলে স্বস্তি ফেরে স্বাগতিক শিবিরে। শেষ দিকে ওলিভার হোয়াইটহেড ও ডেভিড মারাইসের ৩৮ রানের দুটি ইনিংসে ম্যাচ জমিয়ে তুলে প্রোটিয়ারা। কিন্তু আরিফুলের শেষ ম্যাজিকে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে রাফিউজ্জামান রাফি ২৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ছিলেন সেরা। ২টি করে উইকেট নেন বর্ষণ ও আরিফুল।
১১ জুলাই সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে খুলনাতে। শেষ দুটি ম্যাচ হবে রাজশাহীতে ১৪ ও ১৭ জুলাই।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি