খাগড়াছড়িতে পিসিপির সাবেক সভাপতি বিপুল চাকমাসহ চারজনকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে বাজার বয়কট, বিক্ষোভ, হরতাল ও অবরোধসহ চারদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফ।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর প্রতিবাদ সমাবেশ ও শোক সভা এবং বিভিন্ন স্থানে কালো পতাকা উত্তোলন। ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত পানছড়ি বাজার বয়কট। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) পানছড়ি উপজেলাব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট এবং সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) খাগাড়ছড়ি জেলাজুড়ে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ।
ঘোষিত কর্মসূচি সফল করতে সকল শ্রেণি-পেশার জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রবি শংকর চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি জিকো ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের কেন্দ্রীয় সভাপতি কণিকা দেওয়ান, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নীতি চাকমা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অংকন চাকমা সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, খুন গুম করে জনগণের ন্যায্য আন্দোলন দমন করা যায় না। অতীতে অসংখ্য নেতাকর্মীকে হত্যা করার পরও ইউপিডিএফকে আন্দোলন থেকে বিচ্যুত করা যায়নি, ভবিষ্যতেও যাবে না।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের গুলিতে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি বিপুল চাকমাসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন ইউপিডিএফের তিন নেতাকর্মী।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে সীমান্ত ঘেঁষা পানছড়ির লোগাঙ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের অনিলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি বিপুল চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, যুব ফোরামের নেতা লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফের সদস্য রুহিন বিকাশ ত্রিপুরা।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম