শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকারে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫ নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা তদন্ত চলছে: ফায়ারের ডিজি উন্নয়নের লক্ষ্যে চীনের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা রাশিয়ার মিসাইলের আঘাতে ভূপাতিত হয় ওই বিমান শেষ দিনে ভিড় বেড়েছে, পছন্দের ফ্ল্যাট খুঁজছেন অনেকেই বিআরটিএ নির্ধারিত সিএনজি অটোরিকশার জমা ৯০০ টাকা কার্যকরের দাবি ৬ মাস ধরে নিখোঁজ বাংলাদেশিকে পাওয়া গেল থাই নারীর সঙ্গে হোটেলে ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর হওয়া উচিত : প্রধান উপদেষ্টা মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ, ইউপি সদস্যসহ নিহত ২ জাহাজে ৭ খুন: বিচারের দাবিতে কর্মবিরতিতে নৌযান শ্রমিকরা পঞ্চগড়ে টানা চারদিন দিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ইয়েমেনের বিমানবন্দরে হামলা, অল্পের জন্য বাঁচলেন ডব্লিউএইচও প্রধান গান পাউডার ব্যবহার হয়েছে কি না, খতিয়ে দেখতে ‘বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ’ পানির ট্যাংকে লুকিয়ে ছিলেন আ. লীগের ‘ভাইরাল নেত্রী’ কাবেরী পাবনায় দাঁড়িয়ে থাকা করিমনে ট্রাকের ধাক্কায় তিন শ্রমিক নিহত, আহত ৫ নববর্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ ক্রীড়া পরিষদে অস্থায়ী অফিস ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মারা গেছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং যেখানে চলবে ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সংস্কার ছাড়া নির্বাচন সম্ভব নয়: প্রধান উপদেষ্টা

রোজার আগেই নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৬
  • ১২৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: সাধারণত রোজার আগে নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা দেখা যায়। কিন্তু এবার রোজার বেশ আগেই গরুর মাংস ও ডালের দাম বেড়েছে। বাজার এভাবে নিয়ন্ত্রণহীন থাকলে রমজানে গরু মাংসের দাম প্রতিকেজি ৫০০ টাকা হবে বলে আশঙ্কা করছেন মাংস ব্যবসায়ীরা।

আজ শনিবার খুচরা বাজারে আমদানি করা বড় দানার মসুর ডাল ১০৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০-১১৫ টাকা। দেশি মসুর ডাল প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৫৫ টাকা, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৩০-১৫০ টাকায়।

আমদানি করা নেপালি ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫০ টাকায়, গত সপ্তাহে এর দাম ছিল ১৪০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি ডালে দাম বেড়েছে ৫-১০ টাকা। আর প্রতিকেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়।

ডালের দাম কী কারণে বাড়ছে, এ সম্পর্কে ডাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজারে ডালের দাম বাড়ার কারণে খুচরায় তার প্রভাব পড়েছে।

খুচরা বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৪০০ থেকে ৪২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগের সপ্তাহে ছিল ৩৮০ টাকা। এর আগে খাসির মাংসের দাম বেড়ে স্থির রয়েছে। বাজারে প্রতিকেজি খাসির মাংস ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেছেন, ‘রমজান মাসে সিটি করপোরেশন থেকে মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়। কিন্তু গত রমজানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম এনামুল হকের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে মাংসের দাম নির্ধারণ করা হয়নি। এরপর থেকে মাংসের বাজারে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। যে যার ইচ্ছেমতো মাংসের দাম নির্ধারণ করছে।’

তিনি বলেন, ‘এ অনিয়ন্ত্রিত অবস্থা চলতে থাকলে রমজানে মাংসের প্রতিকেজি দাম ৫০০ টাকা হবে।’

মাংসের দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘আগে ভারত থেকে গরু আনার সময় সীমান্তে ১ থেকে ২ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হতো। এখন তার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫-৬ হাজার টাকা।’

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পূর্বের বছরগুলোতে রমজানের বেশ আগে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বাড়ালেও এখন তা না করে মন্ত্রণালয়ের বৈঠক হওয়ার আগেই দাম বাড়িয়ে দেয়। অজুহাত হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘পণ্যের দাম রমজান উপলক্ষে বাড়েনি। এগুলোর দাম অনেক আগেই বেড়েছে।’

বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে স্থির রয়েছে। বাজারে প্রতিকেজি পেয়াজ (দেশি) বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়, আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়।

খুচরা বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫৫ টাকা থেকে ১৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি হালি ব্রয়লার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকা থেকে ৩৪ টাকায়। যদিও আগের সপ্তাহে প্রতিহালি ডিম ২ টাকা কমে বিক্রি হয়েছিল। শুক্রবার পাইকারি বাজারে ব্রয়লার মুরগির একশ ডিম ৭২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮২০ টাকায় (একশ)।

বাজারে প্রতিকেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা থেকে ১০০ টাকায়। আমদানি করা প্রতিকেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়।

এদিকে বাজারে বেশ কিছু কাঁচাপন্যের দাম আগের সপ্তাহের চেয়ে সামান্য কমেছে। রাজধানীর স্বামীবাগ, কাপ্তানবাজার, সেগুনবাগিচা গিয়ে দেখা গেছে, মানভেদে প্রতিকেজি বেগুন ৩০-৩৫ টাকায়, সাদা গোলাকার বেগুন ৩০ টাকায়, গাজর ৩০-৩৫ টাকায়, শসা ৩০-৩৫ টাকায়, ঝিঙে ৩০-৩৫ টাকায়, চিচিঙ্গা ২৫-৩০ টাকায়, পেঁপে ৩০-৩৫ টাকায়, ধুন্দল ৩০-৩৫ টাকায়, শালগম ৩০-৩৫ টাকায়, বরবটি ৩০-৩৫ টাকায়, কচুর ছড়ি ৩০-৩৫ টাকায়, লতি ৩০-৩৫ টাকায়, কাঁচামরিচ ৪০-৫০ টাকায়, টমেটো ৩০-৩৫ টাকায়, করলা ৩৫-৪০ টাকায়, ঢেঁড়স ২৫-৩০ টাকায়, উচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়, পটল ২৫-৩০ টাকায়, শজনে ৬০ টাকায় এবং কাকরোল ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে প্রতিটি বড় লাউ ৩৫ টাকায় এবং ছোট লাউ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি ছোট কুমড়া ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা এবং বড় কুমড়া ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে সয়াবিন তেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে প্রতিকেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা থেকে ৮৫ টাকায়। পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা থেকে ৪৫৫ টাকায়। এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯২ টাকা থেকে ৯৫ টাকায়।

বাংলা৭১নিউজ/এস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com