বাংলা৭১নিউজ, রাজশাহী প্রতিনিধি: পূর্বশত্রুতার জের ধরে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছয় নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রুয়েটের হামিদ হলে সংঘর্ষ হয়।
আহতরা হলেন- রুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবিদ হাসান মিদুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাফি, প্রচার সম্পাদক মাহাথির, ক্রীড়া সম্পাদক রবিন, ছাত্রলীগকর্মী ইমরান ও রাহাত। এদের মধ্যে রাহাত রুয়েট ছাত্রলীগ সভাপতি নাইম রহমান নিবিড়ের অনুসারী। বাকিরা সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মাহফুজুর রহমান তপুর অনুসারী। সবাই রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে রুয়েটের হামিদ হলের উদ্দেশে রওনা হয় রুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতির অনুসারী বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা। খবর পেয়ে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের নেতাকর্মীরা অস্ত্র নিয়ে প্রস্ততি নেয়। হলে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় হলে থাকা আবাসিক শিক্ষার্থীরা আতংকিত হয়ে পড়েন। প্রায় দুই ঘণ্টা চলা ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন।
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে দুইপক্ষের শতাধিক নেতা-কর্মী ক্যাম্পাসে শোডাউন দিলে শিক্ষার্থীদের আতংক ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যায়ও তারা শোডাউন দেয়। এ সময় উভয়পক্ষেই স্থানীয় বহিরাগত লোকজন ছিল বলে রুয়েট ছাত্রলীগের কয়েকজন জানিয়েছেন। মধ্যরাতে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তবে কারা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।
র্যাগিংকে কেন্দ্র করে গত ২৩ জানুয়ারি রাতে সভাপতি গ্রুপের নেতা-কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের নেতা-কর্মীরা। এতে সভাপতি গ্রুপের ১১ জন নেতা-কর্মী আহত হয়। এ ঘটনাও হামিদ হলে ঘটে। এ ঘটনায় সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের হয়ে নেতৃত্ব দেন আবিদ হাসান মিতুল।
এ ঘটনায় হামিদ হলে পুলিশি তল্লাশি চালিয়েছে মতিহার থানা পুলিশ। এ ঘটনার বিষয়ে রুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম রহমান নিবিড় বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝির জায়গা থেকে ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিষয়টি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছি।’
সাধারণ সম্পাদককে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন। রুয়েট প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তাকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।
বাংলা৭১নিউজি/এমআর