আগস্টে পতনের পর সেপ্টেম্বরে রাশিয়া ও ইরাক থেকে ভারতে আসা অপরিশোধিত তেলের পরিমাণ বেড়েছে।
সৌদি আরবের চেয়ে কম দামে অপরিশোধিত তেল পাওয়া এর অন্যতম কারণ হতে পারে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
সংবাদপত্রটির মতে, রাশিয়া থেকে ভারতে আসা অপরিশোধিত তেলের পরিমাণ আগস্টে সাত মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে সেপ্টেম্বরে ভারত রাশিয়া থেকে আগের মাসের চেয়ে ১৬ শতাংশ বেশি অপরিশোধিত তেল কিনেছে।
একই সময়ে ইরাক থেকে আসা অপরিশোধিত তেলে আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা প্রতিদিন প্রায় ১.১ মিলিয়ন ব্যারেল।
অন্যদিকে সৌদি আরব থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি কমেছে। খবরে বলা হয়, আগস্টে সৌদি আরব থেকে ১৯ শতাংশ তেল আমদানি করেছিল ভারত, যা সেপ্টেম্বরে নেমে আসে ১৩ শতাংশে।
সেপ্টেম্বরে ভারত সৌদি আরব থেকে প্রতিদিন প্রায় ৫ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল কিনেছে। সৌদি থেকে ভারতের তেল আমদানি যে কমেছে তা অতীতের দিকে তাকালে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত ভারত সৌদি আরব থেকে প্রতিদিন ৭ লক্ষ ৫০ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে।
সৌদি আরব বর্তমানে ভারতে অপরিশোধিত তেলের তৃতীয় বৃহত্তম সরবরাহকারী। এক নম্বরে রয়েছে রাশিয়া তারপর ইরাক।
সৌদি আরব ঐতিহ্যগতভাবে ইরাকের পরে ভারতের জন্য অপরিশোধিত তেলের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিক্রেতা ছিল, তবে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়া সস্তায় অপরিশোধিত তেল বিক্রি করে আসছে।
যুদ্ধের আগে অপরিশোধিত তেল আমদানিতে রাশিয়া ভারতের জন্য একটি ছোট উৎস ছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সস্তা দামের কারণে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের আমদানি বেড়েছে এবং ভারত যদি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে অপরিশোধিত তেল কিনতে চায়, তাহলে তারা ইরাককেই বেশি পছন্দ করবে, কারণ সৌদি আরবের চেয়ে ইরাকের ব্যারেল প্রতি তেল প্রায় দুই ডলার সস্তা।
আগস্টে রাশিয়া অপরিশোধিত তেলের দাম কিছুটা বাড়িয়েছিল, যার পরে ভারতের আমদানি হ্রাস পেয়েছিল। দাম কমানোর পরই সেপ্টেম্বরে তা আবার বেড়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ