বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:২৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নিয়ে বিজিবি-বিএসএফ উত্তেজনা রাজধানীতে পঙ্গু হাসপাতালে আগুন পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে ইইউর সহায়তা চাইলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা রমজান শেষ না হওয়া পর্যন্ত পণ্যের শুল্কে পরিবর্তন আনবে না সরকার অংশীজনরা কী চান তার ওপর নির্ভর করবে নির্বাচন কবে হবে ঢাকা ছাড়লেন খালেদা জিয়া ২ লাখ ৩৮ হাজার বেকারের কর্মসংস্থান করবে বেজা খালেদা জিয়াকে বার্তা পাঠিয়ে যা বললেন জিএম কাদের ইসলামী ব্যাংকের ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম উদ্বোধন এলএনজি ও চাল আমদানি, ব্যয় ১০২৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা নাঈমুল ইসলাম খান ও তার পরিবারের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বিমসটেক সেক্রেটারি জেনারেলের সাক্ষাৎ প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা কবে নাগাদ সব শিক্ষার্থী পাঠ্যবই পাবে জানি না: শিক্ষা উপদেষ্টা ট্রাইব্যুনালের মূল ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি পুলিশে চাকরি পাচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে আহত ১০০ জন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় শুনানি মুলতবি সচিবালয়ের গেটে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ পাঁচ মাসে আর্থিক স্থিতিশীলতায় খুব বেশি খুশি নয় বাংলাদেশ ব্যাংক

রানা প্লাজা দুর্ঘটনা: ৫১ শতাংশ শ্রমিক এখনও বেকার

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৯
  • ১৫৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: রানা প্লাজা দুর্ঘটনার শিকার ৫১ শতাংশ শ্রমিক এখনও কর্মহীন। দু’বছর আগে এ হার ছিল ৪২ শতাংশ। শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতার কারণে শ্রমিকরা কাজ করতে পারছেন না।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিকদের নিয়ে প্রকাশিত এক জরিপ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

জরিপ চালায় অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ। জরিপের শিরোনাম ছিল- ‘ফোর মিলিয়ন ম্যাকিং ৫০ বিলিয়ন : হোয়ার দি আরএমজি সেক্টর স্ট্যান্ডস সিক্স ইয়ারস আফটার রানা প্লাজা’।

জরিপ প্রতিবেদন তুলে ধরেন অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের ম্যানেজার নুজহাত জেবিন। এতে দেখা যায়, আহত শ্রমিকদের ২০ দশমিক ৫ শতাংশের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে।

এর মধ্যে ৭৪ শতাংশ শারীরিক এবং ২৭ শতাংশ মানসিক দুর্বলতার কারণে বেকার হয়ে পড়ে আছেন। আহত ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ শ্রমিক গার্মেন্টে ফেরত গেছেন। ২০ শতাংশ জানিয়েছেন, তাদের উপার্জন সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা।

অনুষ্ঠানে অ্যাকশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, ‘ক্ষতিপূরণ একটি অধিকার। যদি একসঙ্গে ক্ষতিপূরণ দেয়া হতো, তাহলে আহত শ্রমিকদের বর্তমান চিত্রটা হয়তো ভিন্ন হতো।

খণ্ড খণ্ডভাবে দেয়ার ফলে কোনো উপকারেই আসেনি। একসঙ্গে ক্ষতিপূরণ দিলে যারা কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন এবং সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন, তাদের হয়তো এটা করতে হতো না।’

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘৬ বছর পর পরিস্থিতির আরও উন্নতি হওয়ার কথা ছিল। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।’ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ গবেষক নাজনিন আহমেদ বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি হিসেবে ধরলে পোশাক শ্রমিকদের বেতন বাড়েনি।

সবকিছু হিসাবে ধরলে সর্বনিু বেতন হওয়া উচিত ১২ হাজার টাকার ওপরে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কান্ট্রি ডিরেক্টর টউমো পৌটিয়ানেন বলেন, ‘অনেক কাজ হয়েছে।

কিন্তু অনেক কিছু করার এখনও বাকি রয়েছে। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট কৌশল নেয়া উচিত। শ্রমিকের নিরাপত্তা এখনও প্রশ্নবিদ্ধ। দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের জন্য অবশ্যই একটি সুনির্দিষ্ট কাঠামো থাকা উচিত।’

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শামসুন্নাহার ভুঁইয়া এমপি বলেন, ‘রানা প্লাজা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ- এটা নিশ্চিত করা দরকার। শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো, বাসস্থান, রান্নাঘর ইত্যাদি ব্যাপারে আমরা উদ্যোগ নেব।’

বাংলা৭১নিউজ/এইচ.বি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com