রাজশাহীতে দুই দিন দেখা মেলেনি সূর্যের। তবে বুধবার দিবাগত রাত থেকেই আকাশ ছিল মেঘলা। এতে বুধবার দিবাগত রাত ও বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত রাজশাহী নগরীতে বৃষ্টি হয়। পরে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কিছুটা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ঝরে নগরজুড়ে। তবে শীতের তীব্রতা তেমন ছিল না।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রাজশাহীতে ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ঝরায় বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর থেকে নগরজুড়ে দেখা মেলে ঘন কুয়াশার। এতে জনজীবন অনেকটেই থমকে যায়। করোনাকালীন দোকানপাট রাত ৮টা পর্যন্ত খোলার সময়সীমা থাকলেও প্রচণ্ড কুয়াশায় আগেই রাস্তাঘাট একেবারে ফাঁকা হয়ে যায়।
এদিকে আবাহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক রহিদুল ইসলাম বলেন, পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়ায় মেঘের উপস্থিতি বেড়েছে। সঙ্গে রয়েছে ঘন কুয়াশা। ফলে সূর্যের দেখা মিলছে না। মূলত গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ার পর সন্ধ্যার দিকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ে এবং আকাশ থেকে ঘন কুয়াশা নামে। তবে শুক্রবার সকাল ১০টার পর থেকে রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া বিরাজ করবে বলেও জানান এই আবহাওয়া পর্যবেক্ষক।
বাংলা৭১নিউজ/জিকে