দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর ঘিরে রাজশাহী মহানগরীজুড়ে বইছে সাজ সাজ রব। আনন্দে উদ্বেলিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা, সরকারপ্রধান রাজশাহীবাসীর জন্য নতুন কোনো প্রকল্পের ঘোষণা দেবেন।
আজ রোববার (২৯ জানুয়ারি) রাজশাহীর মাদরাসা মাঠের জনসভায় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন। এ লক্ষ্যে গতকাল শনিবার বিকেলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জনসভা মঞ্চ ও মাঠ পরিদর্শন করেন।
জনসভা সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী জেলার সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৩৮তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করবেন। বিকেলে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন তিনি। এখানে প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীর ৩২ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজশাহী জনসভা উপলক্ষে পশ্চিম অঞ্চলে রেলওয়েতে চালু করা হয়েছে সাত বিশেষ ট্রেন। রোববার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত এই ট্রেনগুলো রাজশাহীতে আসবে। বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারা বলেন, না চাইতেই প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীকে অনেক কিছু দিয়েছেন। রাজশাহী সেজেছে নতুন সাজে। এখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে নতুন করে চাওয়ার কিছু নেই। তারপরও কিছু না কিছু দাবি থাকেই সব সময়। সে রকম তালিকা করা হয়নি। তিনি এলে আরও উন্নয়নের জন্য যা বলার আমরা বলব।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন গণমাধ্যমকে বলেন, নির্বাচনের বছরটাকে নির্বাচনী বছর হিসেবেই ধরা হয়। সেই অর্থে এটা নির্বাচনী জনসভা। আর প্রধানমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন, তিনি নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন। তাই আগামী নির্বাচনের জন্য এখন থেকেই কীভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে, সে কথাই তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের বলবেন।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রফিকুল আলম বলেন, রাজশাহীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি পয়েন্টেই নিরাপত্তা চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকেও গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এবি