গাছেরও প্রাণ আছো— বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু বিষয়টি অনেক আগেই প্রমাণ করেছেন। গাছ নিয়ে শোনা যায় নানা বিস্ময়কর তথ্য। এবার জানা যাক এমন একটি গাছের কথা, যা কাটলে বের হয় ‘রক্ত’।
প্রকৃতির বিস্ময় এই গাছ ইয়েমেন ও আরব সাগরের উপকূলে অল্প কিছু সংখ্যক জন্মায়। ছাতার আকৃতির এই গাছ কাটলে রক্তের মতো আঠালো পদার্থ বের হয়। এজন্য স্থানীয়দের কাছে এটি ‘ড্রাগন ব্লাড ট্রি’ নামেই পরিচিত।
অদ্ভূত নামের পেছনে নানা কাহিনী প্রচলিত আছে। কথিত আছে, ড্রাগনের রক্ত থেকে এই গাছের জন্ম জন্যই এর নাম ‘ড্রাগন ব্লাড ট্রি’। আর গাছ কাটলে যে লাল পদার্থ বের হয় তা ড্রাগনের রক্ত। তবে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে প্রমাণ করেন যে, এটা আসলে গাছের রেজিন।
‘ড্রাগন ব্লাড ট্রি’ লম্বায় প্রায় ১৮ মিটার (৬০ ফুট) এবং প্রস্থে ৬ মিটার (২০ ফুট) পর্যন্ত হয়। এ গাছে কোনো বর্ষবলয় তৈরি হয় না। গাছের কাণ্ডের সংখ্যা দেখে এর বয়স নির্ধারণ করা হয়। এটি ৬৫০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। গাছটি বছরে মাত্র একবার ফুল দেয়।
আশ্চর্য এই গাছের রয়েছে নানা গুণ। নানা রকম ভেষজ চিকিৎসায় অনেকেই এই গাছের আঠা ব্যবহার করেন। ভায়োলিন বার্নিশের কাজেও এই আঠা ব্যবহার হতো।
বিরল এই গাছ সুকাত্রা দীপপুঞ্জে বেশি জন্মায়। এজন্য ২০০৮ সালে এই অঞ্চলকে ‘বিশ্বের এতিহ্যবাহী স্থান’ হিসেবে ঘোষণা করে ইউনেস্কা। জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে বিলুপ্তির পথে ‘ড্রাগন ব্লাড ট্রি’।
বাংলা৭১নিউজ/এবি