বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ০৬:০৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
তিস্তা সেচ ক্যানেলের ধারে পড়ে থাকা মাইন সদৃশ বোমা উদ্ধার ৩৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই : শিক্ষামন্ত্রী রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কুয়েতের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ পাবনায় ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে ভাই-বোন নিহত ইসলামী ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন ঠিকানায় পূবালী ব্যাংকের ঢাকা স্টেডিয়াম শাখা মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনার মান বাড়াতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইকো-ট্যুরিজম সম্প্রসারণে একযোগে কাজ করবে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ সালিশদারকে হত্যার ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১০ জনের যাবজ্জীবন গঙ্গা-তিস্তা নিয়ে ভারত সরকারকে প্রশ্ন করার পরামর্শ মন্ত্রীর পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্পদের তদন্ত চলছে: আইজিপি পাকিস্তানে শিশুসহ একই পরিবারের ৯ জনকে গুলি করে হত্যা শনিবার ঢাকায় সমাবেশ, ৩ দিনের কর্মসূচি দিল বিএনপি বুড়িগঙ্গায় তেলবাহী ট্রলারে বিস্ফোরণ, কেঁপে উঠল পুরো এলাকা দুই আসামিকে ধরতে খাগড়াছড়িতে হেলিকপ্টার দিয়ে সাঁড়াশি অভিযান টানা বৃষ্টিতে রাজধানীতে জলাবদ্ধতা, পথে পথে নানা দুর্ভোগ ঈদের আনন্দ বাড়িয়েছে বিকাশ অ্যাকাউন্টে পাঠানো রেমিটেন্স ঈদুল আজহায় ৩০৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৫৮ জন নিহত বোতলজাত পানির দাম কেন বাড়লো, খবর নিয়ে ব্যবস্থা: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান

যেকারণে তুরস্কে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা এরদোগানের

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৮
  • ২৬২ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের জুনেই ভোট দিতে যাচ্ছে তুরস্কের নাগরিকরা। হঠাৎ করে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। চলমান জরুরি অবস্থা, মুদ্রার মূল্য কমে যাওয়া, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তুরস্কের অবস্থানগত পরিবর্তন এবং সিরিয়ায় দেশটির সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির মধ্যেই এই নির্বাচনের ঘোষণা দেয়া হলো।

বুধবার আগাম নির্বাচনের কথা জানান এরদোয়ান। ১৮ মাস আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে তুরস্কে। রাজনীতিতে এরদোয়ানের প্রধান মিত্র ও জাতীয়তাবাদী নেতা দেভলেত বাহজেলির আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠান আহ্বানের একদিন পরই এই ঘোষণা এলো।

তুরস্কের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২৪ জুন ভোট হবে। এই প্রথম নতুন পদ্ধতির অধীনে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে দেশটিতে। নির্বাচনে জয়লাভ করলে নতুন সংবিধান অনুসারে অতিরিক্ত ক্ষমতা পাবেন এরদোগান।

গত বছরের এপ্রিলে সংবিধান সংশোধনে গণভোট ডাকে তুরস্ক। সামান্য ব্যবধানে জিতে যায় ‘হ্যাঁ’। ফলে সংসদীয় ব্যবস্থা থেকে রাষ্ট্রপতিশাসিত ব্যবস্থায় চলে যায় দেশটি।

সাংবিধানিক এই পরিবর্তনের ফলে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট যেসব ক্ষমতা পাবেন, তা হচ্ছে: ভাইস-প্রেসিডেন্ট, মন্ত্রী, সরকারি উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও সিনিয়র বিচারক নিয়োগের মতো অধিকার। চাইলে যেকোনো সময় সংসদও ভেঙে দিতে পারবেন প্রেসিডেন্ট, জারি করতে পারবেন যেকোনো নির্বাহী আদেশ ও জরুরি অবস্থা।

আগাম নির্বাচন ঘোষণার সময় তুরস্কের ক্ষমতাসীন দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির নেতা এরদোগান ‘তুরস্কের সংকটপূর্ণ সময়ে নির্বাহী ক্ষমতাসম্পন্ন একজন প্রেসিডেন্ট দরকার’ বলে জোর দেন।

তিনি বলেন, ‘যদিও প্রেসিডেন্ট ও সরকার যতটা সম্ভব সঙ্গতি রেখে কাজ করছে, কিন্তু পুরনো রোগ প্রত্যেক পদক্ষেপে আমাদের বাধা দিচ্ছে। সিরিয়া ও অন্যান্য জায়গার পরিস্থিতি নির্বাহী পদ্ধতিকে আরো জরুরি করে তুলেছে।’

গত জানুয়ারির শেষের দিকে তুর্কি বাহিনী ও সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী ফ্রি সিরিয়ান আর্মি সিরিয়ার আফরিনে সামরিক অভিযান শুরু করে। সেখান থেকে মার্কিন সমর্থিত ওয়াইপিজি কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সরিয়ে দেয় তারা। সিরিয়াভিত্তিক পিওয়াইডি ও এর সশস্ত্র গোষ্ঠী ওয়াইপিজিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে দেখে তুরস্ক। নিষিদ্ধ ঘোষিত পিকেকের সঙ্গেও এর সম্পর্ক আছে বলে মনে করে দেশটি।

আফরিনে তুরস্কের ওই অভিযানে ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্র। তবে কুর্দি গোষ্ঠীকে সমর্থন দেয়ায় আবার ন্যাটো মিত্রদের ওপরও চটেছে তুর্কি প্রশাসন। এরইমধ্যে সিরিয়া যুদ্ধ নিয়ে ইরান ও রাশিয়ার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে দেশটি।

গত ১৫ বছর ধরে তুরস্কের ক্ষমতায় আছেন এরদোয়ান- কখনো প্রধানমন্ত্রী আবার কখনো প্রেসিডেন্ট হিসেবে। তার নেতৃত্বেই দেশটির অর্থনীতি উদীয়মান অবস্থায় পৌঁছেছে। এরদোগান প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগের বছর ২০০১ সালে তুরস্কে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৭০ শতাংশ। গত বছর তা কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১২ শতাংশে।

 

তবে অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ এখনো কাটেনি। কোনো কোনো বিশ্লেষক মনে করছেন, প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট- দুই নির্বাচনে জিততে এটা এরদোয়ান ও বাহজেলি জোটের একটি যৌক্তিক সিদ্ধান্ত। তুর্কি রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দভুতগ্লুর প্রাক্তন উপদেষ্টা এতিয়েন মাহজুপায়ান মনে করেন, আগাম নির্বাচনের পেছনে মূল কারণ অর্থনৈতিক সমস্যা ও সিরিয়া যুদ্ধ।

তিনি বলেন, ‘দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার মানে, শক্তিশালী কোনো প্রতিপক্ষকে এরদোয়ানের বিরুদ্ধে প্রচারণার সময় না দেয়া ও সাধারণ নির্বাচনের জন্য সংগঠিত হতে বিরোধীদের পর্যাপ্ত সময় না দেয়।’

এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক আরো বলেন, ‘এরদোগানের মিত্র এমএইচপি মনে করে ২০১৯ সালে নির্বাচন হলে জয়লাভ কঠিন হতে পারে। তারা একটি সুবিধাজনক সময়ে নির্বাচনে যেতে চায়।’

এতিয়েন মাহজুপায়ানের সঙ্গে একমত পোষণ করেন তুরস্কের আরেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক তাহা আয়কল। বিশেষ করে জাতীয়তাবাদী দল লি পার্টির জনপ্রিয়তা বেড়ে গেলে তাতে সমস্যা হতে পারে একে পার্টি ও এমএইচপির বলে মনে করেন তিনি।

আয়কল মনে করেন, তিনটি বড় বিরোধী দল আলাদাভাবে নির্বাচন করবে। তাদের মধ্যে জোট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এটা একে পার্টি ও এমএইচপির জন্য বড় সুযোগ।

তিনি বলেন, ‘দেশে বর্তমানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি রয়েছে। তবে মুদ্রাস্ফীতি, সুদের হার এখনো বেশি। অন্য দেশের মতো অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও আগামী নির্বাচনে তুরস্কের জন্য বড় বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। একে পার্টি ও এমএইচপি এর ঝুঁকি নিতে চায় না।’ সূত্র : এরাবিয়ান জার্নাল।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com