মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক বাংলাদেশকে ‘কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ’ বললেন ভারতের সেনাপ্রধান ডিক্যাবের চা-চক্রে রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী খুলনার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে রংপুর বাংলাদেশ থেকে আরও দক্ষ কর্মী নিতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি আহ্বান হোয়াইট হাউজে যাচ্ছেন ট্রাম্প, গুরুত্ব পাবে যেসব বৈশ্বিক বিষয় টানা তৃতীয় জয়ে সেরা দুইয়ে চিটাগং কিংস এইচএমপি ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, মহামারির ঝুঁকিও নেই ন্যায়বিচার চান প্রয়াত শিল্পপতি হাসানের স্ত্রী জান্নাতুল সচিবালয়ের সামনে অনশনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফেব্রুয়ারিতেই সব বই পাবে শিক্ষার্থীরা: শিক্ষা উপদেষ্টা মালয়েশিয়ায় ৭ দিন বিশেষ ব্যবস্থায় পাসপোর্ট দেবে হাইকমিশন পিএসসির ৬ সদস্যের নিয়োগ বাতিল এবার ভারতে বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনারকে তলব এসবির প্রধান হলেন গোলাম রসুল ৩৩ বছর পর জাবিতে হবে ছাত্র সংসদ নির্বাচন জোড়া ফিফটিতে সিলেটের বিপক্ষে ২০০ পার চট্টগ্রামের ৫০ পুলিশ সুপারসহ ৭৪ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি কর্মস্থলে যাওয়ার পথে প্রাণ গেলো ব্যাংক কর্মকর্তার রাজস্ব ও ভর্তুকির জন্য ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে: খাদ্য উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকে জয়ের ২৫০০ কোটি টাকা : উৎস নিয়ে খালেদা জিয়ার প্রশ্ন

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৬
  • ১৫৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অভিযোগ করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ব্যাংক হিসাবে আড়াই হাজার কোটি টাকা (তিন শ মিলিয়ন ডলার) জমা আছে। যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে একটি মামলার নথিতে এটি আছে বলে তাঁর দাবি।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের শরিক জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) ৩৬-তম জাতীয় সম্মেলনে খালেদা জিয়া এ কথা বলেন। আজ শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

খালেদা জিয়া প্রশ্ন করেন, এই টাকা কোথা থেকে গেছে? এই টাকার উৎস কী? তাদের আরও কত টাকা আছে, বাংলাদেশের মানুষ তা জানতে চায়? বাংলাদেশের মানুষ মনে করে, এই টাকা বাংলাদেশের জনগণের টাকা। দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে অর্জিত বিপুল টাকা বিদেশে পাচার করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলা হয়েছে। তিনি এর তদন্ত দাবি করে টাকা ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। এই টাকার ব্যাপারে সরকারের নীরবতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর পুত্রের টাকার কথা ধামাচাপা দিতে প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। কারারুদ্ধ আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকেও এই মামলায় জড়িয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, এই দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে, তাঁরা নাকি প্রধানমন্ত্রীর পুত্রকে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের রায়েই এ ধরনের অভিযোগকে নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। এভাবে মিথ্যা প্রচারণা, অত্যাচার, নানা ইস্যু সৃষ্টি করে সরকার তাদের অপরাধগুলো ঢেকে রাখতে চায়। জনগণের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে দিতে চায়।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, দেশ–জাতির এক গভীর সংকটকাল চলছে। দেশে গণতন্ত্র নেই। জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার নেই। বৈধ সংসদ নেই। তথাকথিত সংসদে কোনো কার্যকর বিরোধী দল নেই। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে। বাংলাদেশে সুশাসন নেই। সুবিচার নেই। রাষ্ট্রীয় প্রথা ও প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। আইনের শাসন নেই। নেই কোনো মানুষের নিরাপত্তা। সরকার কাউকে কোথাও কোনো নিরাপত্তা দিতে পারছে না। তবু দাবি করছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক। যা কিছু ঘটছে, তা সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা। দেশে কোনো সুস্থ-স্বাভাবিক অবস্থা নেই। প্রতিদিন গড়ে ১৪ জন মানুষ খুন হচ্ছে। নারী ও শিশুরাও রেহাই পাচ্ছে না।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুপ্তহত্যা এবং অতর্কিতে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। ব্লগার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, লেখক, প্রকাশক, বিদেশি নাগরিক, দূতাবাস কর্মী ও বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের লোকেরাও এ ধরনের হামলা ও হত্যার শিকার হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে পারছে না সরকার। বরং তারা এর দায়-দায়িত্ব চাপাচ্ছে বিরোধী দলের ওপর। এতে তদন্ত প্রভাবিত হচ্ছে এবং প্রকৃত অপরাধীরা আড়ালে থেকে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বিএনপি সরকারে আসার পর জঙ্গিবাদী তৎপরতাকে কঠোর হাতে দমন করেছিল। জঙ্গিনেতাদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনা হয়েছিল। তাদের নেটওয়ার্ক সম্পূর্ণ অকার্যকর করে ফেলা সম্ভব হয়েছিল।

খালেদা জিয়া বলেন, ‘বিএনপি একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিবেশীসহ সব দেশের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ মৈত্রীর সম্পর্ক চায়। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সব দেশের সঙ্গে সব সমস্যা নিরসনের নীতিতে বিএনপি বিশ্বাসী। তবে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে সবকিছুই করা হবে সমমর্যাদার ভিত্তিতে। কারও কাছে মাথা নত করব না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি বর্তমান শাসকেরা বেশি দিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।

তাই তাদের বলব, দেশের মানুষের ওপর নির্ভর করুন। দেশের অভ্যন্তরে যে সংকট, তা দেশের ভেতরেই আলাপ-আলোচনার পথে নিরসন করুন। সময় দ্রুত বয়ে যাচ্ছে। আর সময়ক্ষেপণের চেষ্টা করবেন না।’

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com