যশোরে ভাটার লাইসেন্স ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সনদ না থাকায় ৯টি ইটভাটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার (২০ ডিসেম্বর) পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোজিনা আক্তারের নেতৃত্বে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালিত হয়।
গুঁড়িয়ে দেওয়া ইটভাটাগুলো হলো- মেসার্স সুপার ব্রিকস, মেসার্স রিপন ব্রিকস, মেসার্স সরদার ব্রিকস, মেসার্স এলবি ব্রিকস, মেসার্স জনতা ব্রিকস, মেসার্স এমবিবিআই ব্রিকস।
যশোর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সৈয়দ আনোয়ার জানান, যশোর জেলায় দুই শতাধিক ইটভাটা রয়েছে। যার মধ্যে ১৮০টি অবৈধ। এসব ভাটার লাইসেন্স ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। অবৈধ এ ভাটাগুলো বায়ুদূষণ করে চলেছে। সারা দেশের অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদের অংশ হিসেবে রোববার সকাল থেকে যশোরে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। আগামীকাল সোমবার জেলার ১৩টি ইটভাটা উচ্ছেদ করা হবে।
এদিকে কোনো নোটিশ ছাড়াই ইটভাটা ভেঙে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভাটার মালিক ও শ্রমিকরা।
এলবি ব্রিকসের মালিক আব্দুর রশিদ বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশের কথা বলে কোনো নোটিশ ছাড়াই ইটভাটা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আমি বলেছিলাম, আপনারা সিলগালা করে দেন। আমি ভাটা চালাবো না। কিন্তু তারা ভাটা ভেঙে দিয়ে প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি করে গেল। আমার এখানে ৫শ’ শ্রমিক কাজ করে। সবাই আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। এদের কী হবে?
জনতা ব্রিকসের ম্যানেজার বলেন, ১৯৮৯ সাল থেকে এ ভাটা চলছে। ২০১৬ সাল পর্যন্ত সকল কাগজপত্র ছিল। ওইসাল থেকে আর লাইসেন্স নবায়ন করছে না কর্তৃপক্ষ। বারবার লাইসেন্সের জন্য গেলে বলে এখন বন্ধ আছে। অথচ সরকারি কর্মকর্তারা এসে ভ্যাট নিয়ে যায়। দুই মাস আগেও ৫ লাখ টাকা ভ্যাট দেওয়া হয়েছে। ভ্যাট নিয়ে কেন ভাটা ভাঙা হলো তার কোনো জবাব দিল না।
ভাটার নামে এক কোটি টাকার ঋণ রয়েছে। মানুষের কাছে ৫০ লাখ টাকা পড়ে আছে। এ অবস্থায় ইটভাটা ভেঙে দেওয়া সবশেষ হয়ে গেল।
এ ভাটার শ্রমিকরা জানান, অন্য জেলা থেকে কাজ করতে এসেছি। ভাটা ভেঙে দিয়ে গেল এখন আমাদের পথে বসা ছাড়া উপায় নেই। মহাজনতো আর মজুরি দেবে না।
বাংলা৭১নিউজ/এমএস