সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে আবারও আগ্রাসী হয়েছে উঠেছে। রাক্ষুসী যমুনার ভয়াল ভাঙনে দিশেহারা নদী পাড়ের মানুষ।
যমুনা নদীতে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে চতুর্থ দফার ভাঙন শুরু হয়েছে। বুধবার যমুনার প্রবল ঘূর্ণাবতের কারণে হঠাৎ করেই ভাঙনের কবলে মুহূর্তের মধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় ঘড়-বাড়ি, আসবাবপত্র, গাছ-পালাসহ বিস্তীর্ণ এলাকা। ভাঙনকবলিতদের আহাজারি ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না।বুধবার সকাল দুপুর থেকে শুরু হওয়া এই ভাঙন বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।
ছোনগাছা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মো. জহুরুল ইসলাম জানান, ভাঙনে এলাকার অন্তত ২০টি ঘড়বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।আর ভাঙন আতঙ্কে অনেকেই সরিয়ে নিয়ে অন্যত্র চলে যায়। আকস্মিক ভাঙনে সহায়-সম্বল আর মাথা গোঁজার শেষ আশ্রয়টুকু হারিয়ে অসহায় মানুষগুলো আশ্রয় নিয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে। এ যেন এক অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। স্থানীয়রা বলছেন এমন তীব্র ভাঙনের আগে কখনও দেখেনি তারা।
স্থানীয়দের অভিযোগ এ বছর চতুর্থ দফায় এই এলাকায় ভাঙন দেখা দিলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করার জন্যই এ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এই ভাঙনের হাত থেকে রক্ষার জন্য একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী, রনজিৎ কুমার জানান, নদীতে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে এই ভাঙন দেখা দিয়েছে, ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে বালি ভর্তি জিওব্যাগ নিক্ষেপ করে কাজ শুরু করা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এবি