বাংলা৭১নিউজ, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহে গুলিবিদ্ধ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নেতা আশফাক আল রাফী শাওন মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকার ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ২টার দিকে ময়মনসিংহ শহরের জেলা পরিষদ অফিসের সামনে গুলিবিদ্ধ হন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি শাওন। এ সময় তিনি কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পরে রাতেই তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। এ সময় ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম অস্ত্রোপচার করে শাওনের পেট থেকে একটি গুলি বের করেন। পরের দিন উন্নত চিকিৎসার জন্য শাওনকে ঢাকায় নেওয়া হয়। আজ দুপুরে মারা যান তিনি।
আশফাক আল রাফী শাওনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন তাঁর বাবা এম এ কুদ্দুস। তিনি ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাাবিত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। একই সঙ্গে তিনি জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
শাওনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে ‘রহস্যজনক’ বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান।
আশফাক আল রাফী শাওন তাঁর পরিবারের সঙ্গে শহরের আকুয়া চৌরঙ্গীর মোড় এলাকায় বসবাস করতেন।
গফরগাঁওয়ে যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ আটক
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ১৯ বছরের এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগে নূরুল আমিন নামে ৬০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত ধর্ষক মেয়েটির প্রতিবেশী।
পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতা বাদী হয়ে বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে বৃদ্ধকে আটক করা হয়েছে।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার পড়শী পাড়া গ্রামের রিকশাচালকের মেয়ে প্রতিবেশী নূরুল আমিনকে দাদা বলে ডাকতেন। পরিচয়ের সূত্র ধরে নূরুল আমিন প্রায়ই তাকে পান, সুপারি, বিস্কুট ইত্যাদি কিনে দিতেন। একপর্যায়ে মেয়েটিকে তার বাড়িতে বেড়ানোর প্রস্তাব দেন তিনি। গত ১০ ডিসেম্বর মেয়েটি তার বাড়িতে বেড়াতে গেলে তাকে ধর্ষণ করে নূরুল আমিন।
বিষয়টি কাউকে জানালে ধর্ষিতার বাবা-মাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়ার হুমকী দেন। মেয়েটি ভয়ে বিষয়টি কাউকে জানায়নি। গত কয়েকদিন ধরে বমি করতে থাকলে তার মা ও চাচী তাকে চিকিৎসকের কাছে নেয়। পরীক্ষা করে চিকিৎসক মেয়েটির অন্ত:সত্ত্বার বিষয়টি নিশ্চিত হন। পরে এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয়রা মিমাংসা করতে সালিশ বৈঠকে বসেন।
এতে অভিযুক্ত ধর্ষক নূরুল আমিন তাকে বিবাহ করার প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে রাজী না হয়ে বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে গফরগাঁও থানায় অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সবুজ মিয়া বলেন, গ্রাম্য সালিশ বৈঠকে আমরা কোন সুরাহা করতে না পেরে নির্যাতিতাকে আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি।
গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. আব্দুল আহাদ খান জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস