বাংলা৭১নিউজ,(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি:নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচনী ক্যাম্প খোলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন পাঁচজন। এ নিয়ে শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এলাকায় সকাল থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জেলার মোহনগঞ্জ পৌরশহরের মাইলোড়া খেলার মাঠের কোণায় তালামারা নির্বাচনী ক্যাম্প অফিস খোলা নিয়ে শুক্রবার মধ্যরাতে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বাসাবাড়ি, দোকানপাট, অফিস হয়েছে। এ সংঘর্ষে আহতরা হচ্ছেন, যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন (৩২), মিলন আকন্দ (৪৫), মেহেদী হাসান মিঠু (১৬), বদিউল আলম শাহীন (৪০) এবং সুজন মিয়া (১৮)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত ১০টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকের এই বিবদমান দুই গ্রুপের তাণ্ডবে মাইলোড়া এলাকার দোকানপাঠ বাসাবাড়ি ভাংচুর করে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় এলাকায় জন সাধারণের মাঝে আতংকের সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র লতিফুর রহমান রতন জানান, সন্ধ্যায় শেখ রাসেল শিশু কিশোর সংগঠনের পরিচিতি সভা ছিলো পৌর পাবলিক হল মিলনায়তনে। এখানে আমাকে অতিথি করা হয়। এটি নিয়ে ওই গ্রুপের মধ্যে হয়তো ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শিশুরা এখানের অনুষ্ঠান শেষ করে পার্শ্ববর্তী ছোট অফিসটিতে গিয়ে বসতেই ওই গ্রুপ এসে ঝগড়া বাধায়। পরে অফিসে থাকা বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করে। হামলা চালায়।
অন্যদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শহীদ ইকবাল এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, মেয়রের গ্রুপের লোকজনই ঝগড়া বাধিয়ে প্রথমে হামলা চালায়। এতে আমাদের যুবলীগ নেতাসহ চারজনকে আহত করে। সেইসাথে নেতাকর্মীদের বাড়িতেও গিয়ে হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাংচুর হয়। পরবর্তীতে তারা বাজারেও হামলা চালিয়ে ১০ টিরও বেশি দোকানপাট ভাংচুর করেছে। এসময় ৫ টি মোটরসাইকেলও ভাংচুর হয়।
এদিকে, আহত যুবলীগ নেতা জাকির হোসেনকে প্রথমে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহে রেফার্ড করা হয় বলে জানা গেছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে মোহনগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ আব্দুল আহাদ খান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এবি