মোংলায় চুরি করতে গিয়ে নিরাপত্তা কর্মীদের তাড়া খেয়ে পশুর নদীতে পড়ে নিখোঁজের চার দিনের মাথায় যুবকের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু দায়েরের পর বুধবার সকালে লাশের ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পশুর নদীর বিদ্যারবাহন-শেলাবুনিয়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, মোংলার বুড়িরডাঙ্গা ও রামপালের রাজনগর ইউনিয়নের মাঝামাঝি এলাকার জমির উপর নির্মিত ওরিয়ন গ্রুপের সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পে রাজনগরের ৪ ব্যক্তি ১১ ফেব্রুয়ারী চুরির উদ্দেশ্য যায়। সেখানকার নিরাপত্তা কর্মীরা ওই সকল ব্যক্তিদেরকে প্রকল্পের মধ্যে দেখতে পেয়ে ধাওয়া করেন। তখন তাদের তাড়া খেয়ে ওই চোরেরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পালানোর সময় তিনজন নিরাপদে সরে যেতে পারলেও একজন ভয়ে সংলগ্ন পশুর নদীতে ঝাপ দেয়। ঝাপ দেয়ার পর নদীতে নিখোঁজ হয় ওই ব্যক্তি।
নিখোঁজের চার দিনের মাথায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পশুর নদীর শেলাবুনিয়া এলাকা দিয়ে স্রোতে লাশটি ভেসে যেতে দেখে স্থানীয়রা সেটিকে ঠেলে চরে আটকিয়ে পুলিশে খবর দেয়। এরপর খবর পেয়ে মোংলা থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু দায়েরের পর বুধবার সকালে লাশের ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে বলে জানায় পুলিশ। উদ্ধার হওয়া লাশটি হলো মোংলার পাশ্ববর্তী উপজেলা রামপালের রাজনগর ইউনিয়নের কালেখারবেড় এলাকার সেকেন্দার মুন্সীর ছেলে মোঃ আহাদ মুন্সী (২২)। আহাদ পেশায় ভ্যান চালক ছিলেন বলে জানা গেছে।
ওসি মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, গত ১১ ফেব্রুয়ারী ৪ জন চোর ওরিয়নের সোলার প্যানেলে চুরি করতে গিয়ে নিরাপত্তা কর্মীদের ধাওয়া খায়। ওই চারজনের মধ্যে আহাদ সে সময় পালাতে গিয়ে নদীতে ঝাপ দিয়ে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের চারদিনের মাথায় তার লাশ স্রোতে ভেসে যেতে দেখে স্থানীয়রা সেটিকে আটকে আমাদের খবর দেয়।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ