নারায়ণগঞ্জে টিকা নিতে মানুষের আগ্রহ দিনদিন বাড়ছে। তাই টিকাকেন্দ্রে মানুষের উপচে পড়া ভিড় হচ্ছে। আর ভিড়ে যেন হারিয়ে গেছে স্বাস্থ্যবিধি।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) শহরের জেনারেল হাসপাতালে (ভিক্টোরিয়া) সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ৭টা থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন বিভিন্ন বয়স এবং শ্রেণি পেশার মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে লাইনও। এক পর্যায়ে হাসপাতালের সীমানা ছাড়িয়ে বঙ্গবন্ধু সড়কে চলে যায় টিকা প্রত্যাশীদের লাইন। এ সময় কেউই মানছিলেন না সামাজিক দূরত্ব। অনেকের মুখেই ছিল না মাস্ক।
একজন স্বাস্থ্যকর্মী জানান, প্রতিদিন টিকা কার্যক্রম শুরু হয় সকাল ৮টা থেকে। কিন্তু মানুষজন এর আগেই হাসপাতালের সামনে ভিড় জমান। দুপুর ২টায় শেষ হওয়ার সময় থাকলেও অতিরিক্ত মানুষ থাকায় বিকেল ৪টা পর্যন্ত টিকা দিতে হয়। যারা মেসেজ পাননি তারাও লাইনে দাঁড়ান। ফলে প্রতিদিন লাইন দীর্ঘ হচ্ছে।
লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা আকলিমা বেগম বলেন, ‘সকাল ৭টা থেকে দাঁড়িয়ে আছি। এখন পর্যন্ত হাসপাতালের ভেতরেই যেতে পারিনি। কিছুক্ষণ পর পরই লাইনে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। মনে হচ্ছে টিকা নিতে এসে বিপদে পড়লাম।
আজমীর হোসেন নামে টিকা প্রত্যাশী আরেকজন বলেন, সিটি করপোরেশনের তিনটি অঞ্চলের মধ্যে একটি মাত্র টিকা কেন্দ্র হওয়ায় প্রতিদিনই ভিড় হচ্ছে। সিদ্ধিরগঞ্জ, শহর ও বন্দরের বাসিন্দারা একটি কেন্দ্র থেকে টিকা নিচ্ছে। চিন্তা করছি টিকা নিতে এসেই আবার করোনা আক্রান্ত হয়ে যাই কিনা।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শেখ মোস্তফা আলী জানান, গণটিকা কার্যক্রম শুরুর পর রেজিস্ট্রেশন করলেও সেই অনুপাতে টিকা দেয়া সম্ভব হয়নি। যার কারণে ভিড় বেশি হচ্ছে। অনেক অফিস এখন টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক করায় টিকা প্রত্যাশীদের সংখ্যা বেড়েছে। তাই ভিড় হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, এখন থেকে যারা মেসেজ পাবেন, কেবল তাদেরই টিকা দেয়া হবে। যিনি রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তিনি অবশ্যই টিকা পাবেন। তবে মেসেজ পাওয়ার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। মেসেজ পাওয়ার পরই টিকা কেন্দ্রে আসার অনুরোধ জানান তিনি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ