বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: দারুণ বোলিংয়ের কারণে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার। ম্যাচ সেই ভুবনেশ্বর কুমার নিজের সম্পর্কে যতখানি না বললেন, তার চেয়ে বেশি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন একজনকে নিয়ে। এই একজন মুস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পোস্টারবয়। আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বোলিং আক্রমণের প্রাণভোমরা।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) গুজরাট লায়ন্সের সঙ্গে ম্যাচ শেষে পুরস্কার নিতে গিয়ে ভুবনেশ্বর বলছিলেন, ‘মুস্তাফিজের সঙ্গে বোলিং করতে পারাটা দারুণ ব্যাপার।’
কেবল দারুণ ব্যাপারই নয়, ভারতের জাতীয় দলের পেস আক্রমণের অন্যতম এ ভরসা জানাচ্ছেন, তিনি মুস্তাফিজের কাছ থেকে তার দুর্বোধ্য বলগুলো শেখার চেষ্টা করছেন, ‘আমি তার কাছ থেকে স্লোয়ার বল শেখার চেষ্টা করছি, কিন্তু কেউ আসলে তার মতো করে পারে না।’
বৃহস্পতিবারের এ ম্যাচে মুস্তাফিজ-ভুবনেশ্বরদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রথমে ব্যাট করতে নামা লায়ন্সদের ১৩৫ রানে বেধে ফেলে সানরাজার্সরা। এই নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মধ্যে মুস্তাফিজের ফিগার ছিল দারুণ প্রশংসার, ৪-০১৯-১। টি-টোয়েন্টির মতো ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ের খেলায় তার ওভারপ্রতি রান দেওয়ার গড় মাত্র ৪.৭৫।
মুস্তাফিজের ইয়র্কার, অফ কাটার, গুড লেংথ ও স্লোয়ার ডেলিভারি সামাল দিতে দিতেই লায়ন্স ব্যাটসম্যানদের প্রায় ঘাম ঝরছিলো। যে চাপে পড়ে অন্য বোলারদেরও খেলতে পারছিলেন না তারা।
শেষ পর্যন্ত ১৩৫ রানে আটকে যাওয়া লায়ন্সদের বিপক্ষে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জয় তুলে নেন ডেভিড ওয়ার্নার ও শিখর ধাওয়ানরা।
ম্যাচে এই বড় ব্যবধানে জয়ের ভিত্তি গড়ে দেওয়া বোলিংয়ের প্রশংসা ঝরলো অধিনায়ক ওয়ার্নার, এমনকি প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক সুরেশ রায়নার কণ্ঠেও।
ওয়ার্নার বিশেষত বললেন মুস্তাফিজুর রহমানের কথা, ‘ফিজি’র (মুস্তাফিজের আদুরে ডাক নাম) বলের গতির পরিবর্তন একেবারে বিচিত্র। আমি বেঙ্গালুরুতে তার সামনে পড়েছিলাম এবং ও আমার স্টাম্প ভাঙতে চেয়েছিল। ও যেভাবে বলের গতি পরিবর্তন করে তা এক ধরনের শিল্প।’
সহ-খেলোয়াড় বিধায় ওয়ার্নার-ভুবনেশ্বররা এ টাইগারের ‘বোলিং শিল্প’ নিয়ে যে বাড়াবাড়ি করছেন না, তার প্রমাণ একটি ডেলিভারিতে খোদ ধারাভাষ্যকারদের ‘ওহ মাই গুডনেস’ মন্তব্য।
বাংলা৭১নিউ/পিকে