টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৯টি অবৈধ ইটভাটার মালিকের কাছ থেকে এক কোটি ১৮ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ ছাড়া দুই লাখ পিস কাঁচা ইট পানি দিয়ে নষ্ট করা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুন্নেছা আক্তারের নেতৃত্বে উপজেলার আজগানা ইউনিয়নে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জানা গেছে, উপজেলার পাহাড়ি এলাকার বিভিন্ন স্থানে প্রভাবশালীরা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধভাবে ইটভাটা স্থাপন করে ইট প্রস্তুত করে আসছিলেন। বুধবার পরিবেশ অধিদপ্তর সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুন্নেছা আক্তারের নেতৃত্বে ওইসব ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়।
এ অভিযানে মেসার্স নিউ সান নামের ইটভাটাকে ২০ লাখ, মেসার্স জে এম বি-কে ২০ লাখ, মেসার্স এইচ বি এম-কে ২০ লাখ, মেসার্স নিউ এম বি এম ইটভাটাকে ২০ লাখ, মেসার্স নিউ দেওয়ানকে ২০ লাখ, মেসার্স এম আর বি-কে পাঁচ লাখ, মেসার্স হাজী আনছার আলীকে পাঁচ লাখ, মেসার্স জে এস বি-কে পাঁচ লাখ ও মেসার্স ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ নামের ইটভাটার মালিককে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া এই ৯টি ইটভাটায় ভেকু মেশিন দিয়ে ভাটার কিলন ভাঙচুর ও পানি দিয়ে কাঁচা ইট নষ্ট করা হয়।
এ সময় পরিবেশ অধিদপ্তর টাঙ্গাইল অফিসের উপপরিচালক জমির উদ্দিন, সহকারী পরিচালক তুহিন আলম, পরিদর্শক বিপ্লব কুমার সূত্রধর, বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর টাঙ্গাইলের সহকারী পরিচালক তাপস চন্দ্র পাল জানান, ইটভাটার মালিকরা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না নিয়েই অবৈধভাবে ইট প্রস্তুত করছিলেন। পরিবেশ অধিদপ্তর সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুন্নেসা আক্তারের নেতৃত্বে মির্জাপুরে ৯টি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় এক কোটি ১৮ লাখ টাকা জরিমানা আদায়, ভাটার কিলন ভাঙচুর ও কাঁচা ইট নষ্ট করা হয়েছে। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে বলে তিনি জানান।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ