বাংলা৭১নিউজ,(বরগুনা)প্রতিনিধি: বরগুনার চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গ্রেফতার তাঁর স্ত্রী ও মামলার প্রধান সাক্ষী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে আদালতে হাজির করা হবে আজ। তার পক্ষে জামিনের আবেদন করা হবে।
মিন্নিকে গ্রেফতারের পর তাঁর বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর অভিযোগ করেন, মেয়েকে আইনি সহায়তা দেয়ার জন্য কোনো আইনজীবী পাচ্ছেন না। গত শুক্রবার মিন্নিকে রিমান্ড শেষে আদালতে নিয়ে গেলেও কোনো আইনজীবী পাওয়া যায়নি। অবশেষে আইনি সহায়তা পেতে যাচ্ছেন মিন্নি।
গতকাল শনিবার বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল বারী আসলাম জানান, শনিবার সকালে মিন্নির কাছে কারাগারে ওকালতনামা (মামলা পরিচালনার ক্ষমতাপত্র) পাঠানো হয়। দুপুরে মিন্নি সেই ওকালতনামায় স্বাক্ষর করেছেন। আইনজীবীরা সেই স্বাক্ষর করা ওকালতনামা পেয়েছেন। রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে মিন্নির পক্ষে জামিনের আবেদন করা হবে। আদালত শুনানির অনুমতি দিলে রোববারই জামিন শুনানি করা হবে।
বরগুনায় মিন্নির মামলা দেখছেন অ্যাডভোকেট মাহবুবুল বারী আসলাম। এছাড়া ঢাকা থেকে অর্ধশতাধিক আইনজীবী মিন্নিকে আইনি সহায়তা দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এদের ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদও রয়েছেন।
প্রসঙ্গত বরগুনা সরকারি কলেজের মূল ফটকের সামনের রাস্তায় ২৬ জুন সকাল ১০টার দিকে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। বিকাল ৪টায় বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এ হত্যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। হত্যাকাণ্ডের পরের দিন রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বরগুনা থানায় ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ ছাড়া সন্দেহভাজন অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়। এ মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। মামলার এজাহারভুক্ত ছয় আসামিসহ এ পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন, চারজন রিমান্ডে আছে।
বাংলা৭১নিউজ/এমএস