প্রবাসী কর্মীদের সুবিধা নিশ্চিত করতে মালয়েশিয়ার জহুর প্রদেশের সকসো (বিমা কোম্পানি) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন। সম্প্রতি জহুরবারু সকসো অফিসে হাইকমিশনের শ্রম কাউন্সিলর-২ মো. হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল এ বৈঠক করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন কাউন্সিলর কন্স্যুলার জি এম রাসেল রানা ও কল্যাণ সহকারী মো. মুকছেদ আলী।
হাইকমিশনের নিরলস প্রচেষ্টায় মালয়েশিয়া সরকার নিজ দেশের কর্মীদের পাশাপাশি বাংলাদেশসহ অন্যান্য বিদেশি কর্মীদের সোশ্যাল সিকিউরিটি অর্গানাইজেশনের (সকসো) সদস্য করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
সে প্রেক্ষিতে আইন অনুযায়ী নিয়োগকর্তা বাংলাদেশের কর্মীদের সকসোর সদস্য পদ নিশ্চিত করছেন। এর সদস্য হলে কর্মী কর্মকালীন দুর্ঘটনা বা কর্মস্থলের অবস্থার কারণে অসুস্থ হলে বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং পুনর্বাসন সুবিধা পাবেন। কর্মকালীন দুর্ঘটনা বা কর্মস্থলের পরিবেশের কারণে অস্থায়ীভাবে অক্ষম হলে নির্ধারিত দৈনিক ভাতা এবং অবিরাম উপস্থিতি ভাতা পাবেন।
এমনকি স্থায়ীভাবে অক্ষম হয়ে দেশে অবস্থান করলেও আজীবন ভাতা পাবেন। একই কারণে মৃত্যু হলে দেশে থাকা পরিবার (নির্ভরশীল) আজীবন সুবিধা পাবে। এছাড়া বৈধভাবে থাকা কোনো প্রবাসী কর্মীর মৃত্যু হলে তার মরদেহ দেশে পাঠানোর খরচ দেবে ওই প্রতিষ্ঠান।
এই সুবিধা পাওয়ার জন্য নানান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হাইকমিশন ও সকসো অফিস কাজ করবে। এ বিষয়ে আলাচনা করতে সম্প্রতি হাইকমিশন জহুর প্রদেশের সকসো অফিসের সঙ্গে বৈঠক করে।
বৈঠকে জানানো হয়, বাংলাদেশি কর্মীদের কর্ম ও ত্যাগের স্বীকৃতি ও মূল্যায়ন স্বরূপ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত দুর্ঘটনা ও মৃত্যু (মরদেহ দাফনসহ) বাবদ জহুর প্রদেশের অফিস থেকে মোট ২৬৯ জন সুবিধা পেয়েছেন। এটি চলমান প্রক্রিয়া বলে জানানো হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ