বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: মার্কিন ভিসা পেতে হলে এবার থেকে আবেদনকারীকে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার সমস্ত তথ্য তুলে দিতে হবে। শুধু তাই নয়, অতীতে ব্যবহৃত ফোন নম্বর, ই–মেল অ্যাড্রেসের তথ্য জানাতে হবে মার্কিন প্রশাসনকে।
আবেদনকারীর পরিচয় ‘যাচাই’ করার জন্যই এই তথ্যগুলি ভিসা দপ্তরে দিতে হবে, যাতে দেশের জন্য ক্ষতিকর এমন কোনও ব্যক্তির হাতে ভিসা না যায়। বৃহস্পতিবারই ট্রাম্প–প্রশাসন এই নয়া নিয়ম জারি করা করেছে ফেডেরাল রেজিস্টারে।
আমেরিকার অভিবাসী নন যাঁরা, তাঁরা ভিসার জন্য আবেদন করলে তাঁরা এই নয়া ভিসা আইনের আওতায় পড়বেন বলে জানা গিয়েছে। এই নতুন নিয়মের ফলে ৭১০,০০০ অভিবাসী এবং ১৪০ লক্ষ অভিবাসী নয় এমন ভিসা আবেদনকারীর ওপর প্রভাব পড়বে।
এবার থেকে ভিসার জন্য আবেদনকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় কী ধরনের অ্যাক্টিভিটি করছে, কোন কোন গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত বা কী ধরনের পোস্ট করে থাকেন তা সবই খতিয়ে দেখবে মার্কিন প্রশাসন। ওই ব্যক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কোনও ভাবে ক্ষতিকর কিনা তা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন পোস্ট এবং অ্যাক্টিভিটি দেখেই বিচার করা হবে।
এছাড়াও আবেদনকারীর বিগত পাঁচ বছরে যে ফোন নম্বর এবং ই–মেল ব্যবহার করেছেন তার তথ্যও তুলে দিতে হবে প্রশাসনকে। কোনও দেশ থেকে তাঁকে কোনওদিন তাড়িয়ে দেওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে কিনা সেটাও জানাতে হবে। শুধু তাই নয়, আবেদনকারীর পরিবারের কোনও নিকট বা দূরের সদস্য জঙ্গি কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত কিনা তাও খতিয়ে দেখবে প্রশাসন।
এইসব তথ্য জানানোর জন্য ভিসা আবেদনকারীকে ৬০ দিনের সময় দেওয়া হবে। এই ৬০ দিনের মধ্যেই আবেদনকারীকে সমস্ত তথ্য প্রশাসনের কাছে জমা দিতে হবে।
বাংলা৭১নিউজ/সূত্র: আজকাল/এসএস