লঞ্চ অগ্নিকাণ্ডে নিহত সামিয়া (৪) ও লামিয়া (৪) নামে আরও দুই শিশুর মরদেহ শনাক্ত করে নিয়ে গেছেন স্বজনরা। শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে নিহতদের মামার কাছে এই দুই যমজ শিশুর মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
নিহত সামিয়া ও লামিয়া বরগুনার তালতলী উপজেলার আগাপাড়া গ্রামের রফিক হোসেনের মেয়ে। তারা মায়ের সঙ্গে দাদাবাড়িতে বেড়াতে আসছিলো।
নিহতদের স্বজনরা জানায়, মা শিমু আক্তার ও নানী দুলু বেগমের সঙ্গে বৃহস্পতিবার দাদাবাড়ী বেড়াতে আসছিল সামিয় ও লামিয়া। বাবা অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকায় তার আসা হয়নি। এরপর ঢাকা থেকে বরগুগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটি ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সামিয়া এবং লামিয়া। তাদের নানি দুলু বেগম গুরুতর আহত হয়ে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় নিহত শিশুদের মা শিমু আক্তার এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের বাবা রফিক স্ত্রীকে খুঁজতে বরিশালে আছেন।
প্রসঙ্গত, ২৩ ডিসেম্বর দিনগত রাত ৩টার দিকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে বরগুনাগামী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০ এ। এ ঘটনায় ৪১ জনের প্রানহানি ঘটেছে, আহত হয়েছেন শতাধিক। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে।
নিহত ৪১ জনের ৩৭ জনই বরগুনার বাসিন্দা। এনিয়ে সাতটি মরদেহ হস্তান্তর করা হলো স্বজনদের কাছে। বাকি ৩০ মরদেহ বরগুনা সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/বিএফ