মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ১০:১১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ব্যাপক ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে: মার্কিন সিনেটর আরসা প্রধান আতাউল্লাহ ৫ সহযোগীসহ গ্রেফতার জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর নতুন প্রধান মহিউল ইসলাম এসআই থেকে ইন্সপেক্টর হলেন ১২৯ কর্মকর্তা আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ গুতেরেসের সফর বাংলাদেশে সংস্কার এজেন্ডাকে আরও শক্তিশালী করেছে জুলাই সনদ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণ করবে বিএফআইডিসি ও বন অধিদপ্তরের মধ্যে রাবার বাগানের লিজ নবায়ন চুক্তি সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধে দৃষ্টিভঙ্গি এ অঞ্চলের মডেল হতে পারে শেখ হাসিনা ও রেহানা পরিবারের ৩৯৪ কোটি টাকা অবরুদ্ধ তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্য গুরুতর : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার ডিক্লারেশন ফিরে পেলেন শফিক রেহমান মোহাম্মদপুরে বিশেষ পুলিশি অভিযানে গ্রেফতার ১৩ খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের অর্থনীতি: অর্থ উপদেষ্টা গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত বেড়ে তিন শতাধিক বরগুনায় ধর্ষণের শিকার শিশুর পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ ১০ দিনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই দেওয়ার দাবি ইরানকে কঠিন পরিণতিতে ফেলার হুমকি ট্রাম্পের বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি : প্রাথমিক নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশ ডেমরায় ছেলেকে স্কুলে নেওয়ার পথে বাসের ধাক্কায় বাবার মৃত্যু

মানবহীন কারখানার যুগ: চীনে চালু হলো সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় উৎপাদন ব্যবস্থা

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

বিশ্বের উৎপাদন শিল্পে এক নতুন বিপ্লব শুরু হয়েছে, যার নেতৃত্বে রয়েছে চীন। আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে গড়ে ওঠা সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ‘ডার্ক ফ্যাক্টরি’ এখন বাস্তবতা। এসব কারখানা মানুষের সম্পৃক্ততা ছাড়াই ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে সক্ষম, ফলে উৎপাদন হচ্ছে দ্রুত, নির্ভুল এবং সর্বোচ্চ দক্ষতায়।

ডার্ক ফ্যাক্টরি কী?
‘ডার্ক ফ্যাক্টরি’ এমন এক উচ্চ প্রযুক্তির উৎপাদন কেন্দ্র যেখানে কোনো শ্রমিক কাজ করে না। রোবট, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), ইন্টারনেট অব থিংস (IoT) এবং স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতির মাধ্যমে পুরো কারখানার কার্যক্রম পরিচালিত হয়। যেহেতু এখানে মানুষের উপস্থিতি প্রয়োজন নেই, তাই আলো ছাড়াই এসব কারখানা চলে, ফলে বিদ্যুৎ খরচও কম হয়।

স্বয়ংক্রিয় কারখানার মূল বৈশিষ্ট্য
১. সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় উৎপাদন ব্যবস্থা: কাঁচামাল সংগ্রহ থেকে শুরু করে প্যাকেজিং পর্যন্ত সব কাজ রোবট ও স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়, ফলে উৎপাদন হয় দ্রুত ও নিখুঁত।

২. বুদ্ধিমান মেশিন নেটওয়ার্ক: IoT ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে কারখানার সব যন্ত্র একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেয় এবং প্রয়োজনে মেরামত প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করে।

৩. AI-চালিত গুণমান নিয়ন্ত্রণ: প্রতিটি পণ্যের মান পর্যবেক্ষণে অত্যাধুনিক মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম ব্যবহার করা হয়, যা ত্রুটি নির্ণয় ও অপচয় রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

৪. পরিবেশবান্ধব উৎপাদন: শক্তি ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ খরচ কমিয়ে পরিবেশবান্ধব উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে।

শিল্প খাতে বিনিয়োগ ও পরিবর্তন
বিশ্বজুড়ে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো এখন স্বয়ংক্রিয় কারখানায় বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। স্মার্টফোন, গাড়ি, ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনে এসব কারখানার ভূমিকা বাড়ছে। চীনের পাশাপাশি অন্যান্য দেশেও এই প্রযুক্তি ছড়িয়ে পড়ছে, যা শিল্প খাতে এক নতুন প্রতিযোগিতার দ্বার উন্মোচন করেছে।

কর্মসংস্থান ও ভবিষ্যৎ প্রভাব
যদিও স্বয়ংক্রিয় কারখানা মানবশ্রম কমিয়ে দিচ্ছে, তবে এর ফলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্স ও ডেটা সায়েন্সের মতো খাতে দক্ষ কর্মীদের চাহিদা বাড়ছে। ফলে শ্রমিকদের নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে প্রশিক্ষণ নিতে হবে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com