বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৩:০৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
এবার রাজধানীতে নারী সাংবাদিককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ৩৭তম প্রশাসন ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে তাছবীর ও নাছিম কালের কণ্ঠের সহকারী সম্পাদক আলী হাবিব মারা গেছেন আরও ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার গাজার ‘প্রধানমন্ত্রীকে’ হত্যা ইসরায়েলের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মার্কিন সিনেটরকে পাশে চাইলেন উপদেষ্টা যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে চলছে ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপ সুইজারল্যান্ডে প্লেন বিধ্বস্ত, ৩ জন নিহতের শঙ্কা সোনার দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১৫৪৯৪৫ টাকা পার্বত্য উপদেষ্টার সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ পুলিশি তৎপরতায় ছিনতাই কমেছে: ডিএমপি কমিশনার বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচিতে কাতারের সমর্থন ‘বিদেশিরা যেভাবে বলছেন সেই মাত্রায় সংখ্যালঘু নির্যাতন নেই’ সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ব্যাপক ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে: মার্কিন সিনেটর আরসা প্রধান আতাউল্লাহ ৫ সহযোগীসহ গ্রেফতার জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর নতুন প্রধান মহিউল ইসলাম এসআই থেকে ইন্সপেক্টর হলেন ১২৯ কর্মকর্তা আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ গুতেরেসের সফর বাংলাদেশে সংস্কার এজেন্ডাকে আরও শক্তিশালী করেছে জুলাই সনদ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণ করবে

মানবহীন কারখানার যুগ: চীনে চালু হলো সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় উৎপাদন ব্যবস্থা

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

বিশ্বের উৎপাদন শিল্পে এক নতুন বিপ্লব শুরু হয়েছে, যার নেতৃত্বে রয়েছে চীন। আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে গড়ে ওঠা সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ‘ডার্ক ফ্যাক্টরি’ এখন বাস্তবতা। এসব কারখানা মানুষের সম্পৃক্ততা ছাড়াই ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে সক্ষম, ফলে উৎপাদন হচ্ছে দ্রুত, নির্ভুল এবং সর্বোচ্চ দক্ষতায়।

ডার্ক ফ্যাক্টরি কী?
‘ডার্ক ফ্যাক্টরি’ এমন এক উচ্চ প্রযুক্তির উৎপাদন কেন্দ্র যেখানে কোনো শ্রমিক কাজ করে না। রোবট, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), ইন্টারনেট অব থিংস (IoT) এবং স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতির মাধ্যমে পুরো কারখানার কার্যক্রম পরিচালিত হয়। যেহেতু এখানে মানুষের উপস্থিতি প্রয়োজন নেই, তাই আলো ছাড়াই এসব কারখানা চলে, ফলে বিদ্যুৎ খরচও কম হয়।

স্বয়ংক্রিয় কারখানার মূল বৈশিষ্ট্য
১. সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় উৎপাদন ব্যবস্থা: কাঁচামাল সংগ্রহ থেকে শুরু করে প্যাকেজিং পর্যন্ত সব কাজ রোবট ও স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়, ফলে উৎপাদন হয় দ্রুত ও নিখুঁত।

২. বুদ্ধিমান মেশিন নেটওয়ার্ক: IoT ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে কারখানার সব যন্ত্র একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেয় এবং প্রয়োজনে মেরামত প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করে।

৩. AI-চালিত গুণমান নিয়ন্ত্রণ: প্রতিটি পণ্যের মান পর্যবেক্ষণে অত্যাধুনিক মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম ব্যবহার করা হয়, যা ত্রুটি নির্ণয় ও অপচয় রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

৪. পরিবেশবান্ধব উৎপাদন: শক্তি ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ খরচ কমিয়ে পরিবেশবান্ধব উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে।

শিল্প খাতে বিনিয়োগ ও পরিবর্তন
বিশ্বজুড়ে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো এখন স্বয়ংক্রিয় কারখানায় বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। স্মার্টফোন, গাড়ি, ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনে এসব কারখানার ভূমিকা বাড়ছে। চীনের পাশাপাশি অন্যান্য দেশেও এই প্রযুক্তি ছড়িয়ে পড়ছে, যা শিল্প খাতে এক নতুন প্রতিযোগিতার দ্বার উন্মোচন করেছে।

কর্মসংস্থান ও ভবিষ্যৎ প্রভাব
যদিও স্বয়ংক্রিয় কারখানা মানবশ্রম কমিয়ে দিচ্ছে, তবে এর ফলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্স ও ডেটা সায়েন্সের মতো খাতে দক্ষ কর্মীদের চাহিদা বাড়ছে। ফলে শ্রমিকদের নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে প্রশিক্ষণ নিতে হবে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com