দেশের গুণী নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সময় সচেতন এ নির্মাতা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়া ভূমিকা পালন করেছেন। কয়েক দিন আগে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন। এরপর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে নানারকম ‘মিথ্যা খবর’ ছড়ানো হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে এসব ব্যাপার নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করছেন এই পরিচালক।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এর শুরুতে ‘৪২০’খ্যাত এই পরিচালক বলেন, ‘আমার দর্শক ভাই-বোনেরা যারা আমার কাজ-কর্ম সম্পর্কে অবগত আছেন, তারা নিশ্চয়ই জানেন মানুষ এবং ফিল্মমেকার হিসেবে আমি মধ্যপন্থার। আমি চাই পরস্পর বিরোধী মত নিয়াও আমরা এমপ্যাথি লইয়া পাশাপাশি থাকি। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে একে অপরের পাশাপাশি থাকা এবং কোনো ধর্মীয় বিষয়ে অপ্রয়োজনীয় কটাক্ষ এবং হাঙ্গামায় না জড়ানোর জন্য একটা লেখা লিখে বহুবিধ ট্যাগও খেয়েছি। আমাদের আজিজ মার্কেটে দীপন খুনের পর লিখছিলাম।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ডিজিটাল কার্ড ও স্ক্রিনশট ভেসে বেড়াচ্ছে। এসব ভুয়া দাবি করে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, “বহু ডিজিটাল কার্ড এবং ফেক স্ক্রিনশট ঘুরছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে, আমি নাকি ২০১৩ সালে বলেছি— ‘শাপলা চত্বর জঞ্জাল মুক্ত হয়েছে’। ডাহা মিথ্যা কথা। শাপলা চত্বরের ঘটনার পরে আমি বরং লিখেছি, মাদ্রাসার সাধারণ ছাত্রদের মৃত্যুতে আমি ঘুমাতে পারছি না! ইংরেজিতে লেখা পোস্টটা আগ্রহীরা দেখে আসতে পারেন। আমার ছবি দিয়ে কিছু কিছু ফেক উইকিপিডিয়া স্ক্রিনশটও ঘুরছে। প্লিজ, ইগনোর অল দিজ।”
মাদ্রাসা ছাত্রদের মৃত্যুতে উল্লাস করার তথ্য প্রত্যাখান করে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘আমার আপন দুই ভাই মাদ্রাসায় পড়েছে। আমি সাধারণ মাদ্রাসা ছাত্রদের মৃত্যুতে উল্লাস করব? মাদ্রাসার ছাত্র কেন কোনো মানুষের মৃত্যুতে আমি উল্লাস করব? আমি তো এমনকি অপরাধীর মৃত্যুতেও শোক করি। মিথ্যা কথা ছড়ানোরও তো একটা মাত্রা থাকে।’