বাংলা৭১নিউজ, মাগুরা: জেলায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রার তুলায় অধিক জমিতে রোপা আমন ধান চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে জেলার চার উপজেলায় ৫৬ হাজার ৬২৬ হেক্টর জমিতে রোপা আমান ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ। চাষ হয়েছে ৫৭ হাজার ৬৫৫ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলায় ১ হাজার ২৯ হেক্টরে বেশি।
এর মধ্যে সদর উপজেলায় চাষ হয়েছে ২২ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে, শ্রীপুর উপজেলায় ১১ হাজার ২৬০ হেক্টর, শালিখা উপজেলায় ১২ হাজার ৯৩৫ হেক্টর ও মহম্মদপুর উপজেলায় ১১ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষ হয়েছে। চাষকৃত জমি থেকে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৬ মেট্রিক টন চাল উৎপানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর সময়মত বৃষ্টিপাত হওয়ায় এবং সারসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ হাতের নাগালে পাওয়ায় কৃষকরা স্বাচ্ছন্দে রোপা আমন ধান চাষ করছে। চলতি মৌসুমে বিরি ধান -৫৯, বিরি ধান -৫৭, বিরি ধান-৬২ বিরি ধান-৩৯ বিরি ধান -৩৩, বিনা ধান-৭,বিআর ধান -১১, জিএস ধান-১, গুটি স্বর্ণ ধানসহ বিভিন্ন জাতের উচ্চ ফলনশীল জাতের রোপা আমন ধান চাষ হয়েছে। ধান চাষ সফল করতে আধুনিক চাষ পদ্ধতির বিভিন্ন বিষয়ে কৃষকদের নানাভাবে পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
এ বছর ধান চাষ সফল করতে জমিতে লাইন সুইং পদ্ধতিতে ধান লাগানো, গুটি ইউরিয়াসহ জৈব্য ও সুষম সারের সঠিক মাত্রায় ব্যবহার, ধানের জমিতে গাছের ডাল গেড়ে পারচিং বা দাঁড় ব্যবস্থা পদ্ধতিসহ আধুনিক চাষ পদ্ধতির ব্যবহারসহ আধুনিক চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকালে জেলায় আমান ধানের ভালো ফলন হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
মাগুরা সদর উপজেলার বুজরুক শ্রীকুন্ডী গ্রামের কৃষক শহিদ মোল্যা জানান, এ বছর ১একর জমিতে বিরি ধান-৩৩ ও বিরি ধান-৩৯ জাতের ধান চাষ করেছেন। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় এ বছর জমিতে ধান লাগাতে লাইন সুইং পদ্ধতি, গুটি ইউরিয়ার ব্যবহারসহ অধুনিক পদ্ধতিতে ধান চাষ করেছেন। একর প্রতি ৫০ থেকে ৬০ মণ ধান পাবেন বলে আশা করছেন তিনি।
সদর উপজেলার গোয়ালবাড়ি গ্রামের কৃষক জামাল হোসেন জানান, এ বছর তিনি সাড়ে তিন বিঘা জমিতে বিরি ধান-৩৯ জাতের রোপা আমন ধান চাষ করছেন। আধিুনিক পদ্ধতিতে ধান চাষে কৃষি বিভাগ তাদেরকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে। তিনি চাষকৃত জমি থেকে ৫০ থেকে ৭০ মণ ধান পাওয়ার আশা করছেন।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পার্থ প্রতিম সাহা বলেন, চলতি রোপা আমন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বেশি জমিতে রোপা আমন ধান চাষ হয়েছে। সময় মত বৃষ্টিপাত হওয়ায় কৃষকরা ভালোভাবে ধান চাষ করতে পেরেছেন। ধান চাষ সফল করতে কৃষকদের আধুনিক চাষ পদ্ধতি সর্ম্পকে পরামর্শ দেয়াসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এ বছর জেলায় আমন ধানের ভালো ফলন হবে বলে আশা করছি।
বাংলা৭১নিউজ/কেএস