সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৪০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
মিরাজ-সাকিবের ঘূর্ণির পর ২৮৫ রানে ইনিংস ঘোষণা ভারতের অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমে সুপারিশমালা দেবে বিএনপি সেপ্টেম্বরে নির্যাতনের শিকার ১৮৬ নারী-কন্যাশিশু জিয়াউর রহমানকে ‘রাজাকার’ বলায় মামলা চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধির দাবি: পর্যালোচনা কমিটি গঠন ডিসি নিয়োগ নিয়ে হট্টগোল: ১৭ উপসচিবকে শাস্তির সুপারিশ ঢাকাসহ ৯ অঞ্চলে মাঝ রাতের মধ্যে ঝোড়ো হাওয়ার আভাস বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তী সরকার যুক্তরাষ্ট্রে হেলেনের তাণ্ডবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯১ সাভারে শ্রমিক-যৌথ বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ, নিহত ১ এক সিনিয়রসহ ২ সচিব ওএসডি ২৬ দিনে ২৪৩ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ১১০ পল্লবীর ‘মাদক সম্রাজ্ঞী’ লাবণী আক্তার গ্রেফতার পাঠ্যপুস্তক সংশোধনের সমন্বয় কমিটি বাতিল উদ্বেগজনক দৃষ্টান্ত শ্রমিকদের পাওনা ছুটিও দেওয়া হতো না : ড. দেবপ্রিয় অস্ট্রেলিয়ায় হিজবুল্লাহর পক্ষে বিক্ষোভকারীদের দেশ ছাড়া করার হুঁশিয়ারি সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান ও পরিবার সদস্যদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশীদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ নিজ কার্যালয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা পদ্মা থেকে বালু তোলা নিয়ে দুই পক্ষের গোলাগুলি, অস্ত্রসহ আটক ১০

মহাসড়কে নছিমন, করিমন ও ভটভটি, বাড়ছে দূর্ঘটনা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ৪ আগস্ট, ২০১৮
  • ৩৮৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, বেনাপোল প্রতিনিধি: যশোরের সীমান্তবর্তী উপজেলা শার্শা ও বেনাপোল অঞ্চলে মহাসড়কে যাত্রীবাহি নছিমন, করিমন ও ভটভটিতে জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে এ অঞ্চলের মানুষ। অন্যদিকে এসব যানবাহনে ইটবালি , গাছের বড়বড় গুড়ি নিয়ে ব্যাপরোয়া চলাচল করায় বাড়ছে দূর্ঘটনা। ফলে অকালে ঝরে যাচ্ছে তরতাজা প্রাণ। কাউকে আবার সারা জীবনের মতো বরণ করতে হচ্ছে পঙ্গুত্ব।

এছাড়া এসব যানবাহনের বিকট শব্দের কারণে ঘটছে শব্দ দূষণও। ফলে পথচারীসহ জনসাধারণকে সার্বক্ষণিক আতংকের মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে। কিন্তু চোখের সামনে এই অবৈধ  যানের অবাধ চলাচল দেখেও অদৃশ্য কারণে কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না প্রশাসন। ফলে তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।এসব নছিমন, করিমন বিভিন্ন  কিন্ডার গার্ডেনের কোমলমতি বাচ্ছা স্কুলেরর যাওয়া আসার কাজে ও বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে।

দেশের কৃষি উন্নয়ন তথা চাষাবাদের কাজে ব্যবহার করার জন্যই সরকার বিদেশ থেকে ট্রাক্টর আমদানি করার অনুমতি দেয় নাম মাত্র শুল্কে। কিন্তু চাষাবাদের জন্য আমদানিকৃত এইসব  ট্রাক্টর অবৈধ ট্রলি-ট্রাক বা নানা পরিবহনে রূপাšতরিত করে মানুষের চলাচল উপযোগী করে সড়কে চলাচল করছে।

আবাদি জমি ছেড়ে দাবড়ে বেড়াচ্ছে মহাসড়ক সহ শহর ও বাজার কেন্দ্রিক সড়কগুলোতে। ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা না থাকায় শিশু-কিশোররাও অদক্ষভাবে এসব ট্রাক্টর অবাধে চালাবার সুযোগ পাচ্ছে। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা।সড়ক মহাসড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা হয় তার অধিকাংশ ঘটে  ট্রাক্টর, টলি, নসিমন,করিমন ও ভটভোটির কারনে।

নাভারন হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়,প্রতি বছর শতাধিক মানুষ মারা যায় এ ধরনের  অবৈধ যানবাহনে।পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন হাজার হাজার মানুষ। বে-সরকারি হিসেবে এ সংখ্যা দ্বিগুন হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

বেপরোয়া গতি ও কানফাটা আওয়াজে চলাচলকারী এসব যানবাহনের   কারণে শহরের পাশাপাশি গ্রামগুলোতে ব্যাপকভাবে পরিবেশ দূষণ দেখা দিয়েছে। শব্দ ও বায়ুদুষণ এখন গ্রামের প্রতšত অঞ্চলেও পৌঁছে দিয়েছে এসব দানবরুপি বাহনগুলো।সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অবৈধ এই ট্রলি-ট্রাক্টর,  নসিমন, করিমন সংখ্যা কত কোনো তথ্য নেই।

তবে প্রতিনিয়ত শত শত ট্রলি-ট্রাক্টর,নসিমন,করিমনসহ অবৈধ যানবাহন সড়ক-মহাসড়ক থেকে শুরু করে গ্রামের অলি গলি  সড়কেগুলোতে দাবিয়ে বেড়াচ্ছে

অভিযোগ রয়েছে, হাইওয়ে পুলিশসহ থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে এসব ট্রলি-ট্রাক্টর সড়কে চলাচল করার কারণে জনসাধারণের প্রতিরোধের মুখেও তা বন্ধ হচ্ছে না। বেশ কিছু ট্রাক্টর মালিকের সাথে কথা হলে তারা জানান, সংশ্লিষ্টদের মাসোহারা দিয়েই এসব ট্রলি-ট্রাক্টর, নসিমন, করিমন  সড়ক-মহাসড়কে চালাচ্ছেন তারা।

নসিমনের  চালক  আ: রহিম জানান, গরীব মানুষ পেটের দায়ে এ ধরনের যান চালিয়ে সংসার চালাই। মাঝে মধ্যে পুরিশ ধরলে অনুনয় বিনিময় করে রক্ষা পাই।

নাভারন  হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পলিটন মিয়া বলেন, অবৈধ এ যানের চলাচল প্রতিরোধে প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। যারা ধরা পড়ছেন তাদের বিরুদ্ধে জড়িমানা ও মামলা করাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

বেনাপোল পোর্ট  থানার ওসি  তারেক মাসুদ বলেন, সড়কে বেআইনিভাবে চলাচল করা যানবাহন সম্পর্কে বলেন, আমরা যতটুকু সম্ভব অভিযান পরিচালনা করে ট্রাক্টর মালিক ও চালকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করছি। প্রকৃতপক্ষে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা ট্রাফিক বিভাগের কাজ। এ সংক্রাšত বিষয়ে তারাই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এগুলো থানা পুলিশের কাজ না। পুলিশের ম্যান পাওয়ার সীমিত। এই সীমিত ম্যান পাওয়ার দিয়ে ক্রাইম, প্রটেকশন, প্রোটকল, মামলা তদšতসহ পুলিশকে অনেক রকম কাজ করতে হয়। এরপরেও এডিশনাল কাজ হিসেবে আমরা তাদের দায়িত্ব পালন করছি।

শার্শা উপজেলা নির্বাহি অফিসার পুলক কুমার মন্ডল জানান, সড়ক মহাসড়ক  নিরাপত্তার জন্য এসব অবৈধ যানের চলাচল প্রতিরোধে আমরা কাজ করছি। বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। যারা ধরা পড়ছেন তাদের যান আটকে রাখা ও জরিমানা করাসহ প্রয়োজনী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com