মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় শুনানি মুলতবি সচিবালয়ের গেটে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ পাঁচ মাসে আর্থিক স্থিতিশীলতায় খুব বেশি খুশি নয় বাংলাদেশ ব্যাংক জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণে ৮ পরিচালক নির্বাচিত রংপুরের বিপক্ষে এবার ঢাকা অলআউট ১১১ রানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে তিব্বতে নিহত বেড়ে ৯৫ স্ত্রী-ছেলেসহ নাফিজ সরাফতের বাড়ি, জমি ও ১৮ ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ ফরিদপুরে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ৫ যাত্রী নিহত জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ১০০ জনের কর্মসংস্থানের প্রস্তাব ধানমন্ডির কাকলি হাইস্কুল ও না.গঞ্জের ডিপিডিসি অফিসে দুদকের অভিযান দুই মাস পর চালু হলো পায়রার দ্বিতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন রয়-সাব্বির-মোসাদ্দেককে নিয়ে ব্যাটিংয়ে ঢাকা ক্যাপিটালস ভেঙেই গেল জেনিফার লোপেজের চতুর্থ সংসার জিয়া অরফানেজের সব অর্থ ব্যাংকে জমা আছে তিন রাতে ৩০ সেচযন্ত্র চুরি, হুমকিতে ৩০০ বিঘা জমির ফসল ফেলানী হত্যার ১৪ বছর: আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার চান মা তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্প, নিহত বেড়ে ৫৩ রাজধানীর পুরানা পল্টনে বহুতল ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে নতুন দুই কমিটি গঠন করল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

মহারশীর বালু উত্তোলনে ধ্বংস হচ্ছে পাহাড়, হুমকিতে ব্রীজ ও বাড়িঘর

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ৩ জুলাই, ২০১৮
  • ৪৫০ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, শাহরিয়ার শাকির, শেরপুর প্রতিনিধি: ভারত থেকে নেমে আসা শেরপুরের ঝিনাইগাতীর পাহাড়ী নদী মহারশী নদী। এ নদীতেই কোন রকম নিয়ম-নীতি না মেনে অবৈধভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। শতাধিক ড্রেজার বসিয়ে যত্রতত্র উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। যে কারণে নদীর দুই পারের উচু পাহাড় ধ্বসে পড়ছে। ধ্বংস হচ্ছে সামাজিক বনায়নের গাছপালা।

একযুগেও হাইকোর্টের একটি নিষ্পত্তির উদ্যোগ না নেয়ায় এ ধ্বংশলীলা চলছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। পাহাড়ী পার এখনই ভাঙ্গতে শুরু করায় পাহাড়ী ঢল আসলে ব্যাপকভাবে শুরু হবে ভাঙ্গন। এতে হুমকির মুখে পড়েছে পাহাড়ী বাড়িঘর, এ আশঙ্কা স্থানীয়দের।

অপরদিকে সীমান্ত সড়কের সন্ধাকুড়া ব্রীজের কাছ থেকে বালু উত্তোলন করায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রীজটিও হুমকির মুখে পড়েছে। ব্রীজটির পিলারের কাছ থেকে ৮-১০ ফুট পর্যন্ত বালু সড়ে গেছে। ফলে পাহাড়ী ঢল আসলেই ব্রীজটির পিলারের ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এখানকার ছামিউল ইসলাম ফকির নামের এক বালু ব্যবসায়ী ২০০৬ সালে বালু উত্তোলনের জন্য নির্দিষ্ট এলাকায় বালু মহালের ডাক নেয়। কিন্তু নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে যত্র-তত্র বালু উত্তোলন শুরু করলে জেলা প্রশাসন বালু মহালের ইজারা বাতিল করে।

তিনি এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন। আর এ রিটের আলোকেই সে যত্রতত্র বালু উত্তোলন করে আসছে। সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে বিধি নিষেধ থাকা এলাকাতেও সে বালু উত্তোলন করে আসছে। এতে ক্ষতি হচ্ছে গারো পাহাড় ও জীব বৈচিত্র। আর স্থানীয় প্রভাবশালী মহলসহ বনবিভাগের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচ্ছে তার এ অপকর্ম। ফলে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেও কোন সুরাহা পাচ্ছে না স্থানীয়রা। প্রভাবশালীদের ভয়ে তারা কিছু বলতেও পারছেননা।

যে কারণে বনের এত ক্ষতি হওয়ার পরেও বনবিভাগের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা। তার নির্ধারিত স্থানের বাইরে বনবিভাগের জায়াগা কেটে বালু উত্তোলন করলেও তা বন্ধ করা হয়নি।

দীর্ঘ একযুগেও বালু খেকো হিসেবে পরিচিত ছামিউল ফকিরের দায়ের করা রিটের নিস্পত্তির উদ্যোগও নেয়া হয়নি বনবিভাগ, জেলা প্রশাসন ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বনবিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তারা অবৈধ সুযোগ সুবিধা নেয়ার জন্যই কোন ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছেনা। আবার নোম্যান্স ল্যান্ডের জায়গায় বালু উত্তোলন করা হলেও বিজিবির পক্ষ থেকে বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছেনা। এঘটনার মূল হোতা ছামিউল ফকিরের বক্তব্য চাইতে গেলে সাংবাদিকদের সামেন কথা বলতে রাজি না হয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।

এ ব্যাপারে বনবিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে বক্তব্য জানতে চাইলে তারা বনমন্ত্রনালয়ের সচিবের নিষেধ আছে, তার অনুমতি ছাড়া কোন বক্তব্য দেয়া যাবেনা। তবে তারা বলেন, আমরা দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক ড: মল্লিক আনোয়ার হোসেন বলেন, এটা শুধু জেলা প্রশাসেনর দায়িত্ব না। এটা বনবিভাগ ও বিজিবিরও দায়িত্ব রয়েছে। তিনি জানান, বনবিভাগকে দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর আমরা এ বিষয়ে দ্রুতই ব্যবস্থা নেব।

সরকারী কৌশলির কাছে রিট নিষ্পত্তির জন্য আমরা লিখেছি। আর এ বিষয়ে বনবিভাগের মূখ্য দায়িত্ব পালন করা উচিৎ। তবে বন বিভাগের দায়িত্বহীন ভূমিকার জন্য হতাশ স্থানীয়রা। সচেতন মহলের দাবী বালু উত্তোলনের নামে গারো পাহাড়, ব্রীজ ও জনসাধারনের বাড়িঘরকে হুমকির মধ্য ফেলা ঠিক হচ্ছেনা। তাই এখনই সম্পদ রক্ষা করতে বালু উত্তোলন বন্ধ করা প্রয়োজন।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com