বাংলা৭১নিউজ, চাঁদপুর প্রতিনিধি: চাঁদপুর মেঘনায় চলন্ত লঞ্চে হঠাৎ জেনারেটর বিকল হয়ে যাওয়ায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় দুর্ঘটনা আতঙ্কে ছিলেন যাত্রীরা। মেঘনার মোহনপুর এলাকায় মঙ্গলবার রাত প্রায় ১১ টায় এ ঘটনা ঘটে।
‘এমভি সোনার তরী-৫’ দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮টায় চাঁদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। পথে জেনারেটর বন্ধ হয়ে গেলে পুরো অন্ধকারাচ্ছন্ন লঞ্চটি কয়েকবার দুর্ঘটনা হাত থেকে বেঁচে যায়। পরে পুলিশের সহায়তায় লঞ্চটি উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় চালককে।
লঞ্চযাত্রী সাংবাদিক আলম পলাশ জানান, রাত ১১টার দিকে জেনারেটর বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও চালক লঞ্চ চালাচ্ছিলেন। আলো না থাকায় একটি বালুবাহী লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লাগার উপক্রম হয়। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা আতঙ্কে চিৎকার শুরু করে। অল্পের জন্য লঞ্চটি বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায়। কিন্তু সামনে কোনো কিছু ঠিকমতো না দেখা যাওয়ায় লঞ্চ আবারো একটি চরের সঙ্গে ধাক্কা খায় বলে তিনি জানান ।
অন্য যাত্রী, চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবু জানান, ‘ঢাকা থেকে লঞ্চটি ছাড়ার কিছু সময় পর আমি কেবিনে ঘুমিয়ে পড়ি। যখন মোহনপুর এলাকায় চরের সাথে লঞ্চটি ধাক্কা লাগে তখন আমি ভয়ে লাফিয়ে উঠি।’খবর পেয়ে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান ও চাঁদপুর নৌ-থানার ওসি আবুল হাসিম ঘটনাস্থলে গিয়ে লঞ্চটি উদ্ধারের ব্যবস্থা নেন। রাত ১২টার পর লঞ্চটি উদ্ধার করা হয় বলে তিনি জানান।
জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান বলেন, মাঝনদীতে জেনারেটর নষ্ট হওয়ায় লঞ্চের যাত্রীরা ঝুঁকিতে ছিল। ঘটনাস্থল থেকে লঞ্চের কাগজপত্রসহ চালককে আটক করা হয়েছে। তবে লঞ্চের অন্যান্য কর্মচারীরা পালিয়ে গেছে। ওসি আবুল হাসিম বলেন, লঞ্চটি অন্ধকার অবস্থায় চাঁদপুরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করলে চরের সাথে ধাক্কা লাগে। লঞ্চটি বর্তমানে চাঁদপুর ঘাটে রয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চালক দাউদ হোসেন বলেন, হঠাৎ করে লঞ্চের জেনারেটর নষ্ট হয়ে যায়। আমি আস্তে আস্তে চালাচ্ছিলাম।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস