বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চাচাকে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিসিএস ক্যাডার! হাইকোর্টের নতুন রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী লামায় অগ্নিসংযোগ: ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে উপদেষ্টা-প্রশাসন নসরুল হামিদের ৩৬ কোটি টাকার সম্পদ, অস্বাভাবিক লেনদেন ৩১৮১ কোটি তিন উপদেষ্টাকে বিপ্লবী হতে বললেন সারজিস আলম জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম ফায়ার ফাইটার নিহতের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা কোরিয়া থেকে ৬৯৩ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার সাভারে বন্ধ টিএমআর কারখানা চালুর নির্দেশনা উপদেষ্টার দুদকের সাবেক কমিশনার জহুরুল হকের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু কনস্টাসকে ধাক্কা দেওয়ায় কোহলিকে আইসিসির শাস্তি শেখ হাসিনা-শেখ রেহানার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার দাবি ফখরুলের ১১ বছর পর দেশে ফিরছেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক যারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করেছেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত প্রাণ এএমসিএলের ৩২ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন সেতু মন্ত্রণালয় থেকে বাদ যাচ্ছে ১১১৮৬ কোটি টাকার অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বিমানের সিটের নিচে মিলল ২০ সোনার বার, যাত্রী আটক ‘পিলখানা হত্যায় নিরপেক্ষ থেকে ষড়যন্ত্র চিহ্নিত করা হবে’ চোখের জলে এক বীরকে বিদায় দিল ফায়ার সার্ভিস

মধুমতির ভাঙনে হারিয়ে যাচ্ছে নড়াইলের রামকান্তপুর গ্রাম

নড়াইল প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে

মধুমতি নদী ভাঙনের ভয়াবহ রূপ দেখছে নড়াইলের রামকান্তপুর গ্রাম। ইতোমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট, ফসলি জমিসহ ২০ পরিবারের বসতবাড়ি। অব্যাহত ভাঙনের মুখে এখন পুরো রামকান্তপুর গ্রাম।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের পূর্বপাশ দিয়ে বয়ে গেছে প্রমত্তা মধুমতি নদী। নদীর অপর পাড়ে চর পড়তে শুরু করেছে। রামকান্তপুর গ্রামের উজানে চর পড়ে মধুমতি নদী বাঁক নিয়েছে।

সেই বাঁকের কারণে স্রোতের ঢেউ সরাসরি গ্রামটিতে এসে আঘাত করছে। এ কারণে নদী ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ভাঙনের ভয়ে গ্রামের অনেকে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ ঝুঁকি নিয়ে ভাঙন পাড়েই বসবাস করছে। 

রামকান্তপুর গ্রামের বাসিন্দা জালাল সরদার জানান, এখন যেখানে মধুমতি নদী রয়েছে সেখানেই ছিল তাদের ফসলের জমি। আমাদের এখানে অনেক পরিবার তিন-চার বারও ভাঙনের কবলে পড়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে।

অনেকেই এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় গিয়ে বসতবাড়ি তৈরি করেছে। অসচ্ছলতার কারণে যারা শহরে বা অন্যত্র যেতে পারেননি, তারা বারবার বসতবাড়ি সরিয়ে নদীর পাড়েই বসবাস করছেন। ভাঙন বন্ধ করা না গেছে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে রামকান্তপুর গ্রাম।

রামকান্তপুর গ্রামের অনেকেই জানান, চলতি মাসে তৈয়েব শিকদার, মনির শিকদার, হামিদা বেগম, ছেয়ারন নেছা, তাহের আলী, তোয়াক্কেল মুছল্লি, মাসুদ মুসল্লি, জালাল সরদার, উজ্জ্বল সরদার, কওছার মোল্যা, শাহাবুদ্দিন মোল্যা, শহীদ মোল্যা, মহিউদ্দিন মোল্যা, সোহেল আহম্মেদ মোল্যা, দেলবার মোল্যা, শফি সরদার, বিপুল সরদার ও আলমগীর সরদারের বসতবাড়িসহ গাছপালা মধুমতি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। 

নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে বলেন, গত বছর থেকেই পাউবোর কাজ সীমিত হয়ে গেছে। বর্তমানে কোনো বরাদ্দ নেই। তাই ভাঙন রোধের কোনো পরিকল্পনা বা প্রকল্প এই মুহূর্তে নেওয়া যাচ্ছে না।

বাংলা৭১নিউজ/এসএকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com