সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪, ০৯:০২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ত্যাগের মহিমায় ঈদুল আজহা উদযাপন বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির কোরবানির গরু ছিটকে নদীতে, আনতে গিয়ে ডুবে প্রাণ গেলো কৃষকের সীতাকুণ্ডে গঙ্গাস্নানে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু শেষ দিনে গরু কিনতে ক্রেতাদের ঢল, দামও বেশি ব্যবসায়ীর চুরি যাওয়া ৪৬ লাখ টাকা উদ্ধার করল পুলিশ সেন্টমার্টিন ইস্যুতে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত: মির্জা ফখরুল রাস্তার ওপর তিস্তার পানি, যোগাযোগবিচ্ছিন্ন সিকিম-কালিম্পং বরিশালের সড়কে ঝরল ৪ প্রাণ গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ‘কৌশলগত বিরতি’ ঘোষণা ইসরায়েলের সেন্টমার্টিন নিয়ে ফখরুলের বক্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন: কাদের ৬ ঘণ্টায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রস্তুত ডিএনসিসি এক রাতের ব্যবধানে আদার দাম কেজিতে বাড়লো ১২০ টাকা মক্কায় হিটস্ট্রোকে ৬ হজযাত্রীর মৃত্যু মিয়ানমারের আগ্রাসী জান্তার সামনে আ.লীগ সরকার নির্বিকার : রিজভী আসুন ত্যাগের মহিমায় দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করি : প্রধানমন্ত্রী শেষ সময়েও চাহিদায় ‘ছোট গরু’, বড় গরুর পাইকার বললেন ‘টেনশনে আছি’ ঈদের দিন কেমন থাকবে দেশের আবহাওয়া রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ হারানোর পথে মিয়ানমার সেনাবাহিনী

ভয়েস অব আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একান্ত সাক্ষাৎকার

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ১৩ জুন, ২০১৮
  • ১১৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে কি কি কথা হলো, কেমন করে সেগুলো কাজে পরিণত হবে, পরবর্তী পদক্ষেপ কি, এসব নিয়ে ভয়েস অব আমেরিকার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।

ভয়েস অব আমেরিকার কন্ট্রিবিউটর গ্রেটা ভ্যান সাস্টারেনের সঙ্গে এই সাক্ষাৎকারে আরো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বললেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সাক্ষাৎকারটির বিস্তারিত শুনুন সেলিম হোসেনের রিপোর্টে।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জন উনকে কেমন মনে হলো; তার কোন দিকটি আপনাকে অবাক করেছে, এই প্রশ্ন দিয়ে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সাক্ষাৎকার শুরু করেন; ভয়েস অব আমেরিকার কন্ট্রিবিউটর গ্রেটা ভ্যান সাসটারেন। উত্তরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, তিনি একজন দারুন ব্যাক্তিত্বের লোক।

“তিনি একজন মজার মানুষ, খুব বিচক্ষন, একজন ভালো আলোচক। তিনি তার জনগনকে ভালোবাসেন, তাতে যে আমি অবাক হয়েছি তা নয়; তবে মনে হয়েছে তিনি তার জনগনকে ভালোবাসেন। এবং আমি মনে করি আমরা একটি চমৎকার চুক্তির দিকে এগুনোর পথে হাটা শুরু করলাম। আমরা উত্তর কোরিয়াকে পারমানু অস্ত্র মুক্ত করতে যাচ্ছি। অতি শিঘ্রই আমরা তা শুরু করবো এবং আরো আনেক কিছুই ঘটতে যাচ্ছে।

যার মধ্যে থাকছে কোরিয়ান যুদ্ধে নিহতদের দেহাবশেষ হস্তান্তর। স্বজন হারানো পরিবারের জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন বিষয়। ‘দয়া করে আপনি এটা করুন’ এই অনুরোধ করে তারা আমাকে ফোন করেছে, চিঠি লিখেছে। এবং তিনি সম্মত হয়েছেন তাতে, হাজার হাজার মানুষ সেই যুদ্ধে মারা যান-ফলে এটি একটি বড় ব্যাপার”।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে ভ্যান সাসটারেনের প্রশ্ন ছিল, মানবাধিকার প্রশ্নে তার প্রতিক্রিয়া কি ছিলো? উত্তরে তিনি বলেন, খুব ভালো।

“খুব ভালো- অর্থাৎ- আমি বলতে চাচ্ছি; নি:সন্দেহে আমাদের আলোচনার ৯০ শতাংশ কথাবার্তাই ছিল পরমানু মুক্তকরণ বিষয়ে; তবে আরো অন্যাণ্য বহু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে; যার মধ্যে ছিল মানবাধিকার, কোরিয়ান যুদ্ধে নিহতদের দেহাবশেষ হস্তান্তর। আমাদের আলোচনার বিষয়বস্তুর মধ্যে এগুলো অন্তর্ভুক্ত; আরো অনেক ভালো ভালো বিষয় আছে; যার অনেক কিছুই অনেকে ভাবতেও পারেনি”।

সেগুলোর কিছু জানানোর অনুরোধ জানান গ্রেটা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে জানতে চান, তিনি কিম জং উনকে কোনো আল্টিমেটাম বা হুমকী দিয়েছেন কিনা অথবা কিম জং উন নিজে কোনো হুমকী দিয়েছেন কিনা? প্রেসিডেন্ট বলেন না, কারো পক্ষ হতেই কোনো আল্টিমেটাম বা হুমকী দেয়া হয়নি।

“না কোনো হুমকী নয়। আমরা তিনমাস ধরে এ নিয়ে কথাবার্তা বলছি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওসহ অনেকেই এই কাজের সঙ্গে জড়িত। তারা চমৎকার কাজ করেছেন। আমরা বেশ ভালো একটা সময় ধরে এসব করছিলাম এবং আজ বৈঠক করলাম। প্রথম থেকেই আমরা সঠিক পথেই ছিলাম। এবং আমার জন্যে এটি ২৫তম ঘন্টা।

২৫ ঘন্টা ধরে আমি ঘুমাইনি। অনেক লম্বা সময়ের আলোচনার ফসল এটি এবং আমি এতে খুবই গর্বিত। এর মধ্যে দিয়ে একটি প্রক্রিয়ার শুরু হলো। এর সমাপ্তি হতে পারতে একটি যুদ্ধের মাধ্যমে। যাতে লক্ষ কোটি মানুষ মারা যেতে পারতো। আপনি উত্তর কোরিয়াকে খুব ভালো করেই জানেন। সৌলে ২৮ মিলিয়ন বা ২ কোটি ৮০ লাখ মানুষ বসবাস করে। যুদ্ধ হলে তাদের অনেকেই মারা যেতো হয়তো; কিন্তু আমরা একটি চুক্তির মাধ্যমে এর পরিসমাপ্তি ঘটাচ্ছি”।

দক্ষিন কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা থাকবে কিনা এ প্রশ্নে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন হ্যা; তারা থাকবে।

“আমরা সেটি নিয়ে আলোচনা করি নি। আমরা আগে যুদ্ধ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসি, যাতে বহু অর্থ খরচ হয়। এটা খুব উস্কানীমূলক; আমরা এটা নিশ্চিত করতে চাই। আমার ধারনা তারাও এটাতে খুব খুশী। এতে ভাগ্য সহায় হয়েছে। আমরা ভালো মনে, ভালো বিশ্বাসে আল্রোচনা করছি, তাই যুদ্ধ হবে না”।

কয়েক দশকের সামরিক হুমকীর পর কি কারনে কিম আলোচনায় বসলেন এমন প্রশ্নে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন মনে হয়না তিনি অতো বেশী সামরিক হুমকী ধামকি দিয়েছেন।

“আমার তা মনে হয়না, বিষয়টি ছিল নীরব, কেউ কোনো কথা বলেনি। এবং আমি মনে করি প্রাথমিক ভাবে বিষয়টি শুরু করাই গুরুত্বপূর্ন। সত্যি কথা বলতে কি আমিও করি করি করে করতে চাইনি; মানুষ বলেছে আমি ভুল করতে যাচ্ছি। আর এখন আমি এখানে। এবং মনে করছি তিনি একটি চুক্তিতে আসতে চান; কিছু এটা করতে চান”।

কেনো তিনি তা করবেন, এমন প্রশ্নে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “কারন তিনি জানেন এর অর্থ হচ্ছে বানিজ্য। আমি মনে করিনা অতীতে তাকে এমনভাবে বোঝানো হয়েছে। অতীতে ভিন্ন মানুষ ছিলো; এটা তেমনভাবে করা হয়নি। তিনি জানেন যে আমরা বানিজ্য অর্থাৎ লেনদেন করতে যাচ্ছি। আমাদেরকে বানিজ্য করতে হবে এবং করবো। খুব বেশি একটা সময় গড়ায়নি এখনো- যদিও প্রথমদিন থেকেই উত্তর কোরিয়া নিয়ে আমরা কড়িআভাবে কথা বলে আসছি। তবে আজ একটি দলিলে স্বাক্ষর করেছি যা মানুষ যা ভেবেছিল তকার চেয়ে অনেক বেশি পাওয়া বলা যায়। কেউ ভাবেনি এটা সম্ভব হবে”।

দেশে ফিরে গিয়ে তিনি আপনার সম্পর্কে কি ভাববেন বলে মনে হয়; প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে করা গ্রেটার এই প্রশ্নে তিনি বলেন, আমার ধারনা তিনি আমাকে পছন্দ করেছেন এবং আমি তাকে পছন্দ করেছি।

“অতীতের কথা ধরলে বলতে হয়, তিনি একজন রুক্ষ ধরনের মানুষ ছিলেন। হয়তো তিনি রুক্ষ, কর্কশ। কিন্তু আমাদের সঙ্গে তিনি অত্যন্ত ভালো ব্যবহার করেছেন। তিনি বিচক্ষন, তিনি তার জনগনকে ভালোবাসেন, দেশকে ভালোবাসেন। তিনি অনেক ভালো কিছু করতে চান এবং সে কারনেই তিনি এটি করছেন”।

কিন্তু তিনি তার জনগনকে অভাবের মধ্যে ফেলেছেন, না খাইয়ে রেখেছেন, তাদের প্রতি বর্বরতা দেখিয়েছেন, তার পরও বলবেন তিনি তার জনগনকে ভালোবাসেন? এ প্রশ্নে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, দেখুন তিনি তাই করছেন যা তিনি করতে দেখেছেন।

“আমাকে নিশ্চয় আজ, গতকাল বা আরো কয়দিন আগেকার ঘটনার নিরিখে চরলতে হবে। কড়া না হলণে বা নিষেধাজ্ঞা না জারি করলে কাজ হতো না। নিষেধাজ্ঞা জরুরী ছিল। এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকছে সবকিছু ঠিকঠাক না হওয়া পর্যন্ত। পারমানবিক অস্ত্র ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে”।

এই ভয়েস অব আমেরিকা শুনবেন উত্তর কোরিয়ার মানুষেরা- তাদের উদ্দেশ্যে সরাসরি কিছু বলতে চান কিনা- প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি গেটার এ প্রশ্নে তিনি বলেন, “বলতে চাই কেউ একজন আছেন যার তাদের প্রতি গভীর আবেগ অনুভূতি রয়েছে। তিনি তাদের জন্য ভালো কিছু করতে চান এবং আমাদের সঙ্গে ভালো আলোচনা হয়েছে। আমাদের মধ্যেকার রসায়ন ভালো। আর এই রসায়ন মেলাটা খুব গুরুত্বপূর্ন। কারন এমন অনেক মানুষ আছে যাদের মধ্যেকার কেমিস্ট্রি মেলে না, তাতে কিছু হয়তো হয়না, কিন্ত প্রান থেকে কাজ নহয়নি। আমাদের মধ্যে শুরু থেকেই মিলেছে। আমার বিশ্বাস উত্তর কোরিয়ার জন্যে অনেক ভালো কিছু হতে চলেছে”।

প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানা গ্রেটা ভ্যান সাসটারেন।

প্রেসিডেন্ট বলেন অনেকদিন পর হয়তো তিনি ঘুমাতে পারবেন এবং বিশ্রাম নিতে পারবেন।

বাংলা৭১নিউজ/সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা/এ্সএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com