বাংলা৭১নিউজ, ঝিনাইদহঃ ভারত থেকে দেদারছে আম আসছে। নানা ধরণের ক্যামিকেল দিয়ে পাকানো এই আম অস্বাস্থকর। খেলে প্রাণ নাশের শঙ্কাও রয়েছে। দেখতে খুবই সুন্দরী বিধায় নাম রাখা হয়েছে ‘সুন্দরী’।
কিন্তু ভারতের এই সুন্দরীদের শরীরে রয়েছে মারাত্মক ধরনের বিষ। আর এই সুন্দরীতে সয়লাব হয়ে গেছে ঝিনাইদহের কমবেশি প্রতিটি ফলের দোকান। হলুদের আভা এবং বোঁটার দিকে টকটকে লাল। ফলে সহজেই ক্রেতাকে আকৃষ্ট করে এই সুন্দরীরা।
ক্রেতা আকৃষ্ট করতে ফল বিক্রেতারা সুন্দর করে সাজিয়ে রাখেন এই সুন্দরী আম গুলোকে। দিনের পর দিন এই আম দোকানে থেকে গা কুঁচকে যাচ্ছে অথচ নষ্ট হচ্ছে না এমন কি পচনও ধরছে না। বিষাক্ত রাসায়নিক দিয়ে পাকানো আম মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হলেও দেখার কেউ নেই। ঝিনাইদহের প্রায় প্রতিটি ফলের দোকানে এসব আম সাজিয়ে রাখা হয়েছে। রাসায়নিক দিয়ে ও কৃত্রিম উপায়ে আমগুলো পাকানো হয়েছে। লোকজন শুধু এর বাহ্যিক রূপ দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন।
ভারতের মাদ্রাজ থেকে আসা এ আমের নামও আবার কোন কোন ফলব্যবসায়ী দিচ্ছেন গোপাল বাহার। আমাদের দেশীয় আম বাজার আসার আগেই এই সুন্দরী বাজারে আসায় কদরও একটু বেশি।
ব্যবসায়ীরা জানান, সাধারণত মৌসুম শুরুর আগ থেকে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে আসা ভারতীয় সুন্দরী আমে বাজার সয়লাব হয়ে যায়। এবারও অবস্থা তাই। দামও বেশ চড়া। ঝিনাইদহের বাজারে কেজি প্রতি আম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা দরে।
সুন্দরী আমের ছবি তোলার সময় একজন ক্রেতা জানান, গতকাল বাজার থেকে ১কেজি আম ক্রয় করে বাসায় গিয়ে খাবার সময় বাধলো আরেক জ্বালা।তিনি অভিযোগ করেন ভিতরে এখনো আমের আটি বাঁধেনি, খেতেও মিষ্টি না আমের ভিতরে সাদা।
ফলব্যবসায়ীর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন আমরা জানি এগুলো মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর হওয়া সত্ত্বেও ব্যবসার খাতিরে বিক্রি করছি।
বাংলা৭১নিউজ/এমবি