বড়দিন উপলক্ষে হাজার হাজার পর্যটকে টইটম্বুর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। শুক্রবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে আসতে থাকে ভ্রমণ পিপাসুরা।
শুক্রবার বিকেল ও শনিবার সকালে সৈকত ঘুরে দেখা যায়, লেম্বুরবন বন থেকে ঝাউবন পয়েন্ট পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সৈকত কানায় কানায় পূর্ণ পর্যটকে। ব্যস্ত সময় পার করছেন হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, মার্কেটসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
আবাসিক হোটেলগুলো শতভাগ বুকিং রয়েছে, অনেক পর্যটক আগে বুকিং না দিয়ে আসায় তাদের রুম পেতে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে। পরবর্তীতে তৃতীয় শ্রেণির হোটেলগুলোতে জায়গা করে নেন অনেক পর্যটক। আবার অনেক পর্যটক সারাদিন ঘোরাঘুরি করে রাতেই ফিরছেন গন্তব্যে।
গ্রিন ট্যুরিজমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসেন রাজু জানান, বড়দিন উপলক্ষে শুক্রবার ২০ থেকে ২৫ হাজার পর্যটকের আগমন ঘটছে কুয়াকাটায়। আসা করছি পুরো ডিসেম্বর মাস আমরা অনেক পর্যটক পাবো।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, দেশের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া রাখার যে অভিযোগ সেটা কুয়াকাটায় নেই। হোটেলের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অনেক সময় কম দামে ভাড়া দেওয়া হয়, কিন্তু বেশি দামে কেউ ভাড়া দিতে পারে না। কারণ কুয়াকাটায় ট্যুরিজম সংগঠন ও প্রশাসন বেশ তৎপর।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক জানান, বড়দিন উপলক্ষে কুয়াকাটায় হাজার হাজার পর্যটক। তাই আমাদের বিভিন্ন টিম বিভক্ত হয়ে পুরো সৈকতে টহল দিচ্ছে। আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সহযোগিতার ব্যপারে সার্বক্ষণিক তদারকি করছি।
বাংলা৭১নিউজ/সিএফ