সিলেটে ছিলেন ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর ও বাংলাদেশের নিগার সুলতানা জ্যোতি। নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা আজ রোববার। সকালে সিলেট থেকে দুই অধিনায়ককে উড়িয়ে আনা হয় হেলিকপ্টারে।
দিনের শুরুতে ট্রফি নিয়ে তারা যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে। সাথে ছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও আইসিসির আইসিসির প্রধান নির্বাহী জিওফ অ্যালারডিস। সেখান থেকে হোটেল সোনারগাঁওয়ে তাদের ঠিকানা। যেখানে উন্মোচন করা হয় বিশ্বকাপের আকর্ষণীয় ট্রফি ও দশ দলের বিশ্বকাপের সূচি।
বাংলাদেশ এবং অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির জন্য এ বিশ্বকাপের আয়োজন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৪ সালের পর দশ বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশ আবারও নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক। সেবার প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর সবকটি আসরে অংশ নিলেও বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল হতশ্রী।
২০১৪ সালে জ্যোতি ক্রিকেট শুরু করলেও জাতীয় দলের আশেপাশে ছিলেন না। ১০ বছরের ব্যবধানে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তার হাত ধরেই বাংলাদেশ ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলবে। যেখানে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও কোয়ালিফাই থেকে আসা দুই নম্বর দল।
৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় কোয়ালিফাই থেকে উঠে আসা দলের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবে স্বাগতিকরা। আগের পাঁচ আসরে ২১ ম্যাচে মাত্র ২ জয় বাংলাদেশের। প্রথম আসরে ঘরের মাঠে ২ জয়ের পর আর কোনো জয় নেই। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে নিয়ে বাজি ধরার লোক খুব একটা খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি আশা দেখালেন ভালো কিছুর।
জ্যোতি বলেন, ‘প্রত্যেকটা ক্রিকেটারের একটা স্বপ্ন থাকে, নিজ দেশে বিশ্বকাপ খেলার। সবাই খেলে কিন্তু খুবই কমসংখ্যক ক্রিকেটার (নিজ দেশে বিশ্বকাপ) খেলতে পারে। আমি বলব যে, এখন যারা দলে আছি কম-বেশি এখান থেকেই হয়তো সবাই (বিশ্বকাপে) খেলবে। তারা অনেক বেশি সৌভাগ্যবান যে, বাংলাদেশের মাটিতে একটা বড় টুর্নামেন্টে নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করবে।’
জ্যোতি আরও বলেন, ‘রোমাঞ্চের চেয়ে আমি বলব যে, একটা টেনশনও কাজ করছে। কারণ ঘরের মাঠের দর্শক থাকবে। সবাই চাইবে, আমরা যেন ভালো করি। আর আমরা এখন একটু কঠিন সময় পার করছি। তাই অনেক সংশয়-সন্দেহ আসতে পারে। তবু বলব যে, এই দলটা অনেক প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
‘আমাদের হাতে যে সময়টা আছে, আমরা যদি প্রস্তুতি নিতে পারি, আরেকটু ভালো পারফরম্যান্স করতে পারি, আমার মনে হয়, আমাদের যে আক্রমণটা আছে… আমরা যে সবশেষ বিশ্বকাপগুলো খেলেছি, ২০১৪ ছাড়া মনে হয় আর কোনো ম্যাচ জিততে পারিনি। তাই আমাদের মনোযোগ প্রথমেই থাকবে, আমরা যেন ম্যাচ জিততে পারি। সবাই যদি আমরা সেরাটা দিতে পারি, বাংলাদেশে বিশ্বকাপটা আমরা রঙিন করে রাখতে পারব।’-যোগ করেন জ্যোতি।
বিশ্বকাপের এখনও চার মাস বাকি আছে। হাতে আছে পর্যাপ্ত সময়। মাঠে নামার আগ পর্যন্ত জ্যোতি নিজে সহ বাকি সবাইকে সুস্থ পেতে চান। জ্যোতি বলেছেন, ‘প্রথমত দেখেন, এখনও কিন্তু নিশ্চিত না (খেলবো কি খেলবে না)। যেহেতু ৪টা মাস এখনও বাকি। আমি নিজেও জানি না খেলতে পারব কি না। যদি আমি সুস্থ থাকি, আল্লাহ্ রহমত করেন, কোনো সমস্যা যদি না থাকে, তাহলে হয়তো (খেলব)। বাকিদের ক্ষেত্রেও তাই। সবার সুস্থ থাকা এ মুহূর্তে জরুরী।’
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ