রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৩৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
অভ্যুত্থানে ১০৫ শিশু নিহত, প্রত্যেক পরিবার পাচ্ছে ৫০ হাজার টাকা ক্রিকেটার ছদ্মবেশে শ্রমিক নেওয়ার অভিযোগে ২১ বাংলাদেশি আটক ইসরায়েলি হামলা হলে জবাব দিতে পরিকল্পনা প্রস্তুত ইরানের সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব আমিনুল গ্রেপ্তার অনুমাননির্ভর কোনো কথা বলতে চাই না: সাখাওয়াত হোসেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার প্রশ্ন সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নিতে পারবেন শেখ হাসিনার সাবেক মুখ্য সচিবের ৭ দিনের রিমান্ড হেলেনা জাহাঙ্গীর-রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক ডিজি লাকীসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা সামোয়া উপকূলে ডুবল নিউজিল্যান্ডের নৌবাহিনীর জাহাজ ২৩ দিনের জন্য বান্দরবান ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন, ৬২৭ মামলায় জরিমানা ২৬ লাখ দেশে ফিরলেন বিএনপি নেতা টুকু নেত্রকোনায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত, রেললাইনে উপচে যাচ্ছে পানি রাজশাহীর সাবেক এমপি আসাদুজ্জামান আসাদ গ্রেফতার এবার কলকাতার রাস্তায় দেখা মিলল ঢাকার আলোচিত কাউন্সিলর আসিফের ঠাকুরগাঁওয়ে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু সাবেক মন্ত্রী এম এ মান্নানের জামিন ফের নামঞ্জুর ছাত্র-জনতার ওপর হামলাকারী যুবলীগ নেতা শাকিল অস্ত্রসহ গ্রেফতার সেনাবাহিনীতে সৎ-নীতিবান অফিসাররাই পদোন্নতির দাবিদার: প্রধান উপদেষ্টা

বেতনভোগী কর্মকর্তা-কর্মচারী কীভাবে শত কোটি টাকার মালিক

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা:
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০২৪
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

বেতনভোগী কর্মকর্তা-কর্মচারী কীভাবে কোটি কোটি থেকে শত কোটি টাকার মালিক হয়, তা দেশবাসীকে হতবাক করে বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ।

দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি হিসেবে নিজের শেষ কর্মদিবসে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবর্ধনায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এমন কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও আপিল বিভাগের অন্য বিচারপতিদের উপস্থিতিতে দেওয়া বক্তব্যে বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ বলেন, ‘দুর্নীতি আমাদের সব অর্জন ক্ষতিগ্রস্ত করছে। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের হাত থেকে অফিস-আদালত মুক্ত রাখতে হবে। একজন বেতনভোগী কর্মকর্তা-কর্মচারী কীভাবে কোটি কোটি এমনকি শত কোটি টাকার মালিক হন, তা দেশবাসীকে হতবাক করে। তাই এগুলো রোধ করতে রাষ্ট্রকেই দায়িত্ব নিতে হবে। তাহলে দেশ উপকৃত হবে।’

বিচারপতি হাফিজ আরও বলেন, ‘নীতি-নৈতিকতার তোয়াক্কা না করে মুহূর্তেই বড়লোক হওয়ার মানসিকতা আমাদের বড় বিপর্যয়ের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে।’

দেশে অপরাধের ধরন পাল্টে যাওয়া এবং কিশোর গ্যাংয়ের ভয়াবহতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সময়ের বিবর্তনে অপরাধের ধরন প্রতিনিয়ত পাল্টে যাচ্ছে। আমাদের সন্তানদের ভয়াবহ অবস্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

অভিভাবকদের বিভিন্নমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। পারিবারিক সম্প্রীতি, সংস্কৃতি, দীর্ঘ দিনের লালিত মূল্যবোধ নষ্ট হচ্ছে। কিশোর গ্যাংয়ের উত্থান ঘটেছে। মাদক, সামাজিক অনাচারসহ অস্ত্রের প্রতিযোগিতা, হুমকি ও আশঙ্কার বিস্তার ঘটেছে।’

এগুলোই আমাদের টেকসই উন্নয়ন, শান্তি, প্রসারিত ভালোবাসা, ধৈর্য ও সহযোগিতা প্রতিষ্ঠার প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এসময় বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ বলেন, দুর্বলকে রক্ষা, দুর্নীতি রোধ, ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রাপ্তি এবং দেশ ও জনগণের শান্তি-নিরাপত্তায় দেশের বিচার বিভাগ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

মিথ্যা মামলার ভয়াবহতা উল্লেখ করে বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ বলেন, ‘প্রতিপক্ষকে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিচার বিভাগকে এর ভার বহন করতে হচ্ছে। এতে আদালতের প্রচুর সময় নষ্ট হচ্ছে। মিথ্যা মামলা ন্যায়বিচারের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

গত ২৫ এপ্রিল বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। বিচারিক জীবন শেষ করে আজ তিনি অবসর গ্রহণ করেন।

বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি অনার্স ও এলএলএম ডিগ্রি নেওয়ার পর ১৯৮২ সালে ঢাকা জজ কোর্টে এবং ১৯৮৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন আব্দুল হাফিজ। ২০০৩ সালের ২৭ এপ্রিল তিনি অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে হাইকোর্টে নিয়োগ পান। এরপর ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল তিনি হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হন।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com