গাজীপুর মহানগরীর সারাব এলাকার বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের বন্ধ ঘোষণা করা ১৬ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেছেন শ্রমিকরা। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে তারা ওই আন্দোলন শুরু করেন। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা চন্দ্রা-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় অবস্থান নিয়ে অবরোধ করেন।
শিল্প পুলিশ, কারখানার শ্রমিক ও স্থানীয়রা জানান, বিভিন্ন অযুহাতে গাজীপুরের সারাব এলাকার বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কারখানাগুলো বন্ধ ঘোষণার পর গত বৃহস্পতিবার কয়েক হাজার শ্রমিক বিক্ষোভ করেন। দুপুর থেকে বিক্ষোভ শুরু করে চন্দ্রা-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেন।
খবর পেয়ে সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন আনইশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরে কারখানার সামনে অবস্থান নিতে বলেন। বার বার বলার পরও শ্রমিকরা সড়ক থেকে সরে না গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ক্ষিপ্ত হন। এক পর্যায়ে কিছু শ্রমিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। পরে তাদের ধাওয়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ওই দিনের পর শুক্রবার শ্রমিকরা সড়কে নামেননি, বিক্ষোভও করেননি।
তবে একদিন বিরতি দিয়ে শনিবার সকাল থেকে শ্রমিকরা বন্ধ ঘোষণা করা কারখানাগুলো খুলে দেওয়ার দাবিতে ফের বিক্ষোভ শুরু করেন। সকাল ৯টার দিকে চন্দ্রা-নবীনগর সড়কের জিরানী ও চক্রবর্তী এলাকায় কাঠের গুড়ি ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। এছাড়া আশপাশ থেকে ময়লা আবর্জনা এনে সড়কে ফেলে তাতে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন ওই সড়কে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষ।
সড়ক অবরোধের ফলে ওই সড়কের উভয় দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। খবর পেয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশ, কাশিমপুর থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের শান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবু তালেব বলেন, শ্রমিকরা কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে সকাল থেকে বিক্ষোভ শুরু করেছে। চন্দ্রা-নবীনগর সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা চলছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস