অবশেষে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। করোনা মহামারির পর রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম হু হু করে বাড়তে থাকে। ছাড়িয়ে যায় অতীতের রেকর্ড। এতে দেশে দেশে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যায়। প্রভাব পড়ে মূল্যস্ফীতিতে।
জানা গেছে, মন্দার আশঙ্কার মধ্যেই ব্রেন্ট ক্রুডের দাম চলতি সপ্তাহের শুরুতে ১০০ ডলারের নিচে নেমে আসে। গত পাঁচ সপ্তাহ ধরেই আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম নিম্নমুখী। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের দাম দাঁড়িয়েছে ৯৭ দশমিক ৬৯ ডলারে। যুদ্ধের শুরুর দিকে ব্যারেল প্রতি দাম বেড়ে দাঁড়ায় ১৩৯ ডলারে। তারপর ধাপে ধাপে দাম কমতে থাকে।
তবে অনেকে মনে করছেন ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বেড়ে ব্যারেল প্রতি ১৫০ ডলারে দাঁড়াতে পারে। আবার অনেকে বলছেন, মন্দা হলে চাহিদা কমে এই মূল্য ৬৫ ডলারে দাঁড়াতে পারে।
এদিকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দেশে দেশে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো সুদের হার বৃদ্ধি। তবে এমন পদক্ষেপে অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কা প্রবল হচ্ছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনাদের আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে জ্বালানি তেলের দাম ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার আগাম আশঙ্কা প্রকাশ করছিলেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।
নিউইয়র্কভিত্তিক ফরেন এক্সচেঞ্জ কোম্পানি ওনাডার বিশ্লেষক অ্যাডওয়ার্ড মোয়া ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি বলেছিলেন, ইউক্রেনে আক্রমণ হলে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ১০০ ডলার ছাড়াতে কোনো বাধা থাকবে না। তার মতে, ইউক্রেন পরিস্থিতি সম্পর্কিত খবরাখবরের জন্য তেলের বাজার খুবই অস্থির ও সংবেদনশীল থাকতে পারে।
অ্যাডওয়ার্ড মোয়ার এ বিশ্লেষণ সত্য প্রমাণিত হয় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর। রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করতেই আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ১০০ ডলারে উঠে আসে। এরপর প্রতিদিন জ্বালানি তেলের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এতে এক সপ্তাহে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ২৩ দশমিক ৫১ শতাংশ বেড়ে যায়। আর ব্রেন্ট ক্রুড অয়েল ২২ দশমিক ৪৫ শতাংশ ও হিটিং অয়েলের দাম ২৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ বাড়ে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ