শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৩৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুলসহ ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশের দাবিতে লিফলেট বিতরণ এবার কারও পক্ষ নিয়ে কাজ করলে অসুবিধা হবে : কর্মকর্তাদের সিইসি অল্প কিছুদিনের মধ্যে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: মির্জা ফখরুল ইসলামী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা চুরি শেখ হাসিনার দুর্নীতি খুঁজে বের করতে টাস্ক ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত ডিএমপির ১২ ডিসিকে বদলি ‘বৃহত্তর ইসরাইলের’ মানচিত্র প্রকাশ, আরব দেশগুলোর কড়া প্রতিবাদ বিমানবন্দরে রক্তাক্ত সেই প্রবাসীকে জরিমানা, হতে পারে জেলও ৩০ জুনের আগেই মহার্ঘভাতা ঘোষণা মানিকগঞ্জে ডিসির রুমের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান দাবি মানার আল্টিমেটাম দিয়ে ‌‌শাহবাগ ছাড়লেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা শরীয়তপুরে থানা থেকে ওসির মরদেহ উদ্ধার নিক্সন ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে ৩ হাজার ১৬২ কোটি টাকা লেনদেন শহীদ মিনারের পর শাহবাগ অবরোধ বিডিআর সদস্যের স্বজনদের জেনেভা ক্যাম্পের আলোচিত সন্ত্রাসী চুয়া সেলিম গ্রেপ্তার মা‌র্কি‌নিদের হয়ে ঢাকায় বিশেষ দা‌য়িত্ব সামলাবেন ট্র্যাসি জ্যাকবসন বিসিএসে বাদ পড়া ২২৭ জনের বেশিরভাগই চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন রাশিয়ায় বিমানবাহিনীর তেলের ডিপোয় ইউক্রেনের হামলা হাইভোল্টেজ ম্যাচে টস জিতে বরিশালকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো রংপুর

বিলীনের পথে উত্তরাঞ্চলের কচুরিপানার নয়নাভিরাম দৃশ্য

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০১৯
  • ১১৪৫ বার পড়া হয়েছে

মো: হায়দার আলী রাজশাহী:  একসময় খাল-বিল, পুকুর, গর্ত-ডোবাগুলো নদীর পানিতে ভরে থাকত। আর এসব পানিতে জন্মাতো কচুরিপানা নামক জলজ উদ্ভিদ। বৃষ্টিপাতের অভাব ও নদীনালা ভরাট হয়ে যাওয়ায় খাল-বিল, নদী-নালায় পানি না থাকায় গর্ত ডোবা বা খাল-বিলে কচুরিপানার  আর দেখা  নেই বললেই চলে। শীতকালে কচুরিপানার সবুজ পাতার মাঝে বেগুনি-সাদা রঙের ফুটে ফুলের নয়নাভিরাম দৃশ্যের সৃষ্টি হতো। যা এখন আর তেমন একটা চোখে পড়ে না। 

অনেক আগে এ কচুরিপানা আমাদের দেশে ছিল না। জনশ্রুতি আছে, এর ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে জনৈক নাবিক শখের বশে সুদূর জার্মান থেকে এ কচুরিপানা আমাদের দেশে এনেছিল বলে এর নাম জার্মানি হয়েছে। তবে  এ এলাকায় এ কচুরিপানা বা জার্মানি নামেই পরিচিত। এ জার্মানির রয়েছে ছিল নানা গুণ। এর ডাঁটা-পাতা গবাদিপশুর ভাল খাদ্য। জৈবসার হিসাবে শুকনা পচা কচুপিানারও বেশ চাহিদা ছিল। বিশেষ করে এর বাহারি ফুলের কারণে ছোট-বড় সব বয়সের মানুষের কারণে বেশি পরিচিত।

রাস্তার ধারের ডোবার জলে কচুরিপানার সবুজ পাতার মাঝে বেগুনি-সাদা রঙের মিশ্রণে ফুটে থাকা ফুলের সেই নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে যেকোনো বয়সের মানুষই মুগ্ধ না হয়ে পারে না। আগেকার দিনে গ্রামের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা এই ফুল তুলে খেলায় মেতে উঠত।

গ্রামের স্কুলপড়ুয়া ছেলেমেয়েরা স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে রাস্তার ধারের ডোবার পানিতে ফুটে থাকা ফুল তুলে নিজেরা খেলা করত আর বাড়িতে থাকা ছোট ছোট ভাই-বোনদের হাতে দিয়ে তাদের মন জয় করত। সে দৃশ্য এখন আর চোখে পড়ে না। কচুরিপানা জলজ উদ্ভিদ।

এর পাতার ডাঁটাগুলো অনেকটা পটল আকৃতির এবং ভেতরে স্পঞ্জের মত ফাঁপা হওয়ায় অনায়াসে পানির উপর ভেসে থাকে। এর কোনো বীজ হয় না। গাছের গোড়া থেকে চারা বের হয়ে বংশবৃদ্ধি ঘটে। অনুকূল পরিবেশ পেলে খুব দ্রুত বংশবিস্তার ঘটে। এই কচুরিপানা স্বল্পমাত্রায় জলাশয়ে থাকলে যেমন ভালো তেমনি অধিক মাত্রায় থাকলে আগাছা হিসাবে জলাময় ভরাট ও ফসল যেমন আমন ধানের ক্ষতি করে থাকে। বর্ষাকালে বিলের পানি বৃদ্ধি পেলে বাতাসের চাপে কচুরিপানা ভেসে গিয়ে ধানক্ষেত ঢেকে ফেলে।

শুষ্ক মৌসুমে বিল-বাঁওড় ও পুকুরে জন্মানো কচুরিপানার গাছ-পাতা তুলে স্তুুপ করে রাখলে তা শুকিয়ে পচে ও শুকিয়ে গিয়ে জৈবসার তৈরি হয়। যা কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক সাশ্রয় হয়। আগেকার দিনে মাটির স্পর্শে যাতে গাছের ফল নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে মাঠের পটল, আলু, লাউ, উচ্ছে ইত্যাদির খেতে শুকনা কচুরিপানা বিছিয়ে দেয়া হতো। এতে একদিকে যেমন এসব সবজি পচনের হাত থেকে রক্ষা পেত অপরদিকে এসব শুকনা কচুরিপানার গাছ পচে জমিতে জৈব সার হিসাবে কাজ করত।

আগের মতো এলাকায় আর কচুরিপানা না থাকায় বর্তমানে সুতা ও বাঁশের কাবারি দিয়ে তৈরি মাচায় এসব সবজি চাষ করা হয়। চোখে পড়েনা শীতকালে কচুরিপানার সবুজ পাতার মাঝে বেগুনি সাদা আর হলুদের মিশ্রণে ফুটে থাকা হাজার হাজার ফুলের নয়নাভিরাম দৃশ্য।

বাংলা৭১নিউজ/এমএম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com