বাংলা৭১নিউজ, মো: হুমায়ূন কবির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের আঁখি-মিনহাজ দম্পতির হানিমুন করা হলো না ।
মাত্র ১৩ দিন আগে বিয়ের পিঁড়িতে বসে ছিল আঁখি মনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর রুপসদী গ্রামের রফিকুল ইসলামের (পেশকার মিয়া) মেয়ে আঁখি মনি। রাজধানী ঢাকা মহাখালীর মিনহাজ বিন নাসির হলেন তার নব-বর। বিয়ের পর দুই পরিবারের সম্মতিতেই নেপালে হানিমুন করতে যাচ্ছিলেন এই নব দম্পতি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ের বিমান দূর্ঘটনায় ভেঙ্গে গেল দুটি পরিবারের স্বপ্ন, আনন্দ পরিণত হলো বিষাদে।
স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই থেকে গেল। হানিমুন করা হলো না আঁখি-মিনহাজের। বিমান দূর্ঘটনায় নিহত হলো আঁখি মনি ও তার স্বামী মিনহাজ বিন নাসির।
মঙ্গলবার নিহত আঁখি মনির পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি গায়ে হলুদ, ১মার্চ বিয়ে আর ৩ মার্চ বিবাহোত্তর সংবর্ধনা হয় আঁখি মনি ও মিনহাজ বিন নাসির দম্পতির। জাঁক-জমকপূর্ণ ওই অনুষ্ঠানের পর পরিবারের উদ্যোগেই তাদের নেপালে হানিমুনে পাঠানো হয়েছিল।
ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানে নেপাল যাচ্ছিলেন নব এই দম্পতির। বিমানটি সময়মতো কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও পৌঁছে ছিল কিন্তু অবতরণের সময় বির্ধŸস্ত হয় যায়। বিমানেই প্রাণ হারান এ নবদম্পতি।
কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্ত হবার পর আঁখি ও মিনহাজের মোবাইল ফোন থেকেই দেশে তাদের মৃত্যুর খবর আসে। বর্তমানে কাঠমান্ডুর হাসপাতালের মর্গে এ নবদম্পতির লাশ পরে রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, সোমবার বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলা বিমান দূর্ঘটনায় ২৬ বাংলাদেশিসহ ৪৯ জন যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়ে হাসপাতালে রয়েছেন ৯ বাংলাদেশিসহ আরো ২২ জন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস