বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
অন্তর্বর্তী সরকারের উদারতা জাতিকে অনন্তকাল ভোগাবে : হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও দেশকে অস্থির করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে ভেতরে প্রবেশ করছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা লামায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ড. ইউনূসের নিন্দা আগুনের সূত্রপাত কীভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি : ফায়ারের ডিজি সচিবালয়ের আগুন ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সড়কে পড়ে আছে ফায়ারকর্মী নয়নের হেলমেট ও তাজা রক্ত সচিবালয়ে আগুন: যে হুঁশিয়ারি দিলেন আসিফ মাহমুদ আগুন ৬ তলায় লেগে উপরে গেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সবাই একসঙ্গে শান্তিতে থাকতে চাই : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে থেকে পড়ে বিদ্যুতায়িত, দুই শ্রমিকের মৃত্যু ‘আমাদের একমাত্র লক্ষ্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা’ বাংলাদেশ সীমান্তে অতিরিক্ত বিএসএফ মোতায়েন সৌদিতে সড়কে প্রাণ গেল ময়মনসিংহের দুই যুবকের, পরিবারে শোকের মাতম বিএনপিকর্মী মকবুল হত্যা: সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর কারাগারে প্রশাসন নিরপেক্ষ করতে ‘স্বৈরাচারের দোসরদের’ অপসারণ করুন সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউল্লাহ শফিকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা বইমেলায় স্টলের জন্য আবেদন করা যাবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদকের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা

বিধিনিষেধের তোয়াক্কা নেই ঐতিহ্যবাহী হুমগুটি খেলায়

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় শনিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৫৯ বার পড়া হয়েছে

সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী হুমগুটি খেলা। হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। খেলা দেখতে লাখো মানুষ আসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে। লাখো মানুষের ভিড়ে জমে ওঠে মেলা।

শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর ও ১০ মাইলের মাঝামাঝি বড়ই আটাবন্ধ নামক বিশাল মাঠে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এই খেলায় পিতলের তৈরি ৪০ কেজির গোলাকার বল নিয়ে মাঠে হাজারো মানুষের কাড়াকাড়ি হয় এর দখল নিয়ে। সবার মুখে উচ্চারিত হয় ‘জিতই আবা দিয়া গুটি ধররে হেইও…’। যারাই এই বল লুকাতে পারবে তারাই হবে বিজয়ী।

স্থানীয় সূত্র জানায়, খেলা শুরু হলে গুটিটি কোন দিকে যাচ্ছে তা চিহ্নিত করা হয় নিশানা দেখে। এই গুটিটি মাঠে আসার পরপরই তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে হাজারো জনতা। দখল নিতে শুরু হয় টানাটানি, ধাক্কাধাক্কি, ধস্তাধস্তি। গুটিটি নিজেদের দখলে নিতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা হয়। লক্ষ্মীপুরে বড়ই আটায় খেলা শুরু হলেও ধীরে ধীরে খেলাটি ছড়িয়ে পড়ে ৫/৮ কিলোমিটার দূরের গ্রামেও। গুটিটি গুম না হওয়া পর্যন্ত চলে এ খেলা।

মানুষের ভিড়ে কে গুটি নিয়ে দৌড় দিয়ে গুম করে কেউ জানে না। খেলায় কোনো রেফারি থাকে না, খেলোয়াড়রাই থাকেন এ খেলার বিচারক। গুটি নিয়ে দলের কাড়াকাড়ি, আপন আপন গ্রামে নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং যারা নিতে পারবে তারাই হবে বিজয়ী।

 

২৬০ বছর আগে মুক্তাগাছার রাজা শশীকান্ত আচার্য্যের সঙ্গে ত্রিশালের বৈলরের জমিদার হেমচন্দ্র রায়ের জমির পরিমাপ নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। তখনকার দিনে তালুকের প্রতি কাঠা জমির পরিমাপ ছিল ১০ শতাংশে, পরগনার প্রতি কাঠা জমির পরিমাপ ছিল সাড়ে ৬ শতাংশে। একই জমিদারের জমিতে দুই নীতির কারণে প্রতিবাদী আন্দোলন শুরু হয়। এই বিরোধ মিমাংসা করার জন্য লক্ষ্মীপুর গ্রামের বড়ই আটা নামক স্থানে ’তালুক-পরগনার সীমানায়’ এই গুটি খেলার আয়োজন শুরু করা হয়। গুটি খেলার শর্ত ছিল গুটি গুমকারী এলাকাকে তালুক এবং পরাজিত অংশের নাম হবে ‘পরগনা’।

মুক্তাগাছা জমিদারের প্রজারা বিজয়ী হয় জমিদার আমলের সেই গুটি খেলায়। স্থানীয় মোড়ল পরিবার বর্তমানে ধারাবাহিকভাবে এই খেলার আয়োজন করে আসছে।

এ বিষয়ে ফুলবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল সিদ্দিক বলেন, খেলাটি ঐতিহ্যবাহী। প্রতি বছরই এই দিনে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত বছর থেকেই তাদের বারবার সতর্ক করা হয়েছে। তারপরও তারা খেলার আয়োজন করেছে।

বাংলা৭১নিউজ/সিএফ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com