সোলার প্ল্যান্টের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করার কথা বলে নিয়োগ বাণিজ্য ও খাসজমি দখলের অভিযোগ উঠেছে এটিএক্স এনার্জি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। সোলার প্রকল্পটি অবৈধ জানিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। সরকারের ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নে নেয়া তার প্রকল্প নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে দাবি প্রতিষ্ঠানের এমডি’র।
গোবিন্দগঞ্জের হরিরামপুরে করতোয়া নদীর তীরে এটিএক্স এনার্জি’র সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পে ঢুকতেই নিরাপত্তাকর্মীদের বাধা। খাস জমি দখলের পাশাপাশি স্বজনদের চাকরি দেয়ার প্রলোভনে স্বল্পমূল্যে মালিকানা জমি কিনে টাকার বিনিময়ে প্রকল্পে চাকরি দেয়ার অভিযোগ প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।
প্রকল্প সম্পর্কে কিছুই বলতে পারলেন না প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার। প্রকল্পের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমোদন প্রশ্নে ডিসি-এসপি পরিদর্শন করেছেন বলে জানান আরেক কর্মকর্তা। স্থানীয় সংসদের ডিও লেটার ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি কোন প্রমাণ দেখাতে পারেনি বলে জানান ইউএনও। আর অবৈধ এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেন জেলা প্রশাসক।
গাইবান্ধার এটিএক্স এনার্জির সহকারী সুপারভাইজার আকতারুল ইসলাম বলেন, প্রকল্প সম্পর্কে আমি সঠিক কিছু বলতে পারব না।
গাইবান্ধার এটিএক্স এনার্জির সিকিউরিটি ইনচার্জ ফজলে রাব্বী বলেন, ডিসি এবং এসপি সাহেব এখানে ভিজিট করে গেছেন।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামকৃষ্ণ বর্মণ বলেন, আমি তাদের ডেকেছিলাম, তারা আমাকে এমপি এবং মন্ত্রী সাহেবের ডিও লেটার দেখিয়েছেন। আমি তাদের বলেছি, আপনারা যেহেতু এখানে কাজ করেন তাই বিষয়টি আমাদের অন্তত জানানো উচিত ছিল।
গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন বলেন, এগুলো গর্হিত কাজ।
তবে এটিএক্স এনার্জি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে নেয়া প্রকল্প নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
গাইবান্ধার এটিএক্স এনার্জির ব্যবস্থাপনা পরিচালক খালেকুজ্জামান মাসুদ বলেন, এমপি সাহেব ডিও লেটার দিয়েছেন। জেলা প্রশাসক বরাবর আমরা একটি আবেদন করেছি। আমরা কোনো ধরনের অনৈতিক কাজে জড়িত না।
প্রতিষ্ঠানটি কোন ধরণের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই সৌর বিদ্যুৎ প্লান্টে বিভিন্ন পদে গোবিন্দগঞ্জসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলার শতাধিক যুবককে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এবি