ভাষার নাম বাংলা। এর জন্য জীবন বাজি দিয়েছে বাঙালি। ১৯৫২ এর ২১ ফেব্রুয়ারির সেই ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে অনন্য। গর্বের বাংলা ভাষা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এখন বিদেশিদের কাছে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
বাঙালির গৌরব ও শোকের দিন এখন বিভিন্ন দেশেও পালিত হয় আয়োজন করে। সেই আয়োজনে সামিল হয় ভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির মানুষ। তবে ভাষা ও সংস্কৃতি ভিন্ন হলেও বাঙালির আবেগ আর ত্যাগকে সম্মান দিয়ে দিবসটিকে পালন করতে চায় তারা।
বাংলাদেশে থাকা এক কোরিয়ান যুবক বললেন, মাতৃভাষা দিবসের আয়োজনে অংশ্রগহণ করতে পেরে খুশী লাগছে। মাতৃভাষা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের মানুষ মাতৃভাষাকে অনেক ভালোবাসে। আমিও আমার কোরিয়ান ভাষা অনেক ভালোবাসি।
কোরিয়ান আরেক তরুণী বলেন, বাংলাদেশে এসে বাংলা শেখার পাশাপাশি এদেশের সংস্কৃতিও শিখেছি। আমার খুব আনন্দ লাগছে। যারা বাংলা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। বাংলাদেশের সকলকে মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা।
মাতৃভাষারও যে আলাদা আবেগ আছে, গর্ব আছে; এই দেশে এসেই কেউ কেউ তা অনুধাবন করেছেন। এক নরওজিয়ান বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের মায়ের ভাষাও আমাদের আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটাই আমাদের পরিচয়। বাংলাদেশে যখন এসেছি, তখন এই দিবস সম্পর্কে আরও বেশি জেনেছি।
নরওয়ের আরেক তরুণী বললেন, আমি জানতামই না, বাংলাদেশই ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে। গত বছর আমরা এখানে এসে শহীদ মিনারে গিয়েছিলাম। সেখানে ভাষার প্রতি সবার আবেগ ও অনুভূতি দেখে অবাক হয়েছি আমি। আমি অবশ্যই আমার ভাষাকে ভালোবাসি। কিন্তু বাংলাদেশে এসে সেটা আরও বেড়েছে।
নিজের ভাষা নিয়ে এখন গর্ববোধ করেন অনেক বিদেশিই। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস তাই তাদের জীবনে নতুন উপলক্ষ্য এনেছে।
নেপাল থেকে বাংলাদেশে পড়তে আসা এক শিক্ষার্থী বলেন, বাংলাদেশে আসার পর ভিন্ন ভাষায় কথা বলতে গিয়ে ভাষার গুরুত্ব বুঝেছি। নিজের ভাষার গুরুত্বও আমি বাংলাদেশে এসে বুঝেছি।
ওড়িষ্যা থেকে পড়তে আসা আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আগামী প্রজন্মের কাছে আমি মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরতে চাই। আমাদের ভাষা আমাদের পরিচয়।
এখন থেকে ভাষার অধিকার রক্ষায় কাজ করবেন বলে জানালেন অনেক বিদেশি। তাদের অভিমত, বাংলা ও বাঙালির মধ্যে এ এক অন্যরকম আবেগ।
বাংলা৭১নিউজ/এবি