বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:০৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
মালয়েশিয়ায় সড়কে প্রাণ গেলো বাংলাদেশির আজই কারামুক্ত হবেন ডেসটিনির রফিকুল আমীন-হোসেন, আশা আইনজীবীর ট্রাম্পকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ অস্বীকার করলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট সাড়ে ৫ কোটি লিটার ভোজ্যতেল কিনছে সরকার টিউলিপ ও পুতুলের বিরুদ্ধে আরও দুর্নীতির অনুসন্ধান নির্বাচনের আগে ট্রায়াল কোর্টে বিচারের আশা আসিফ নজরুলের ছাত্রীদের আবাসনের জন্য মাসে ৩ হাজার টাকা দেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সামনে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের সংঘর্ষ রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে কমিশন গঠন ফেব্রুয়ারিতে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংস্কার প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা গাজীপুরে দিনব্যাপী ‘মার্সেল ডিস্ট্রিবিউটর সামিট-২০২৫’ মারা গেছেন সাবেক আইজিপি আজিজুল ৩ কোটি টাকা মূল্যের শো-রুমের গাড়ি নিয়ে লাপাত্তা : গ্রেপ্তার ৫ দেশের ইতিহাসে প্রথম গোয়েন্দা জাহাজ উন্মোচন করল ইরান প্রাথমিকে শিক্ষক বদলি শুরু, চলবে মার্চ পর্যন্ত ক্যান্সার আক্রান্ত গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতিকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নেওয়ার বিধান বাতিলের প্রস্তাব ফেনীতে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু তাবলিগ জামাতের সমস্যা সমাধানে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা বান্দরবানে ৭ শ্রমিককে অপহরণ

‘বিকাশ’ এখন আমার কাছে ‘ক্যাশ টাকা’

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা:
  • আপলোড সময় রবিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৩
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

বাচ্চার জন্য জামা-জুতা, বউয়ের জন্য শাড়ি, বাবা মায়ের জন্য শাড়ি-পাঞ্জাবি ও নিজের জন্য পোশাকসহ ঈদের কেনাকাটার লম্বা তালিকা গোলাম বারিউল মুজিব নোবেলের। প্রতি বছরের মতো এবার নোবেল ঈদের কেনাকাটা সারছেন বিকাশ পেমেন্টেই। 

মূলত বিভিন্ন শপে বিকাশ পেমেন্টে ছাড় কিংবা অফার দেওয়া হয়। সে কারণেই ঈদের কেনাকাটায় বিকাশ পেমেন্টের ওপর আস্থা রাখছেন নোবেল। এছাড়া বিকাশে পেমেন্টের সুযোগ থাকায় পকেট ভর্তি টাকা নিয়ে কেনাকাটায় বেরোনোর ঝামেলাও নেই।

নোবেল বলেন, আমি সবসময় দেখি বিকাশ পেমেন্টে কোন শপে কী সুবিধা আছে। লাইফস্টাইল পণ্যের শপগুলো অনেক ছাড় ও অফার দিয়েছে। এতে করে কেনাকাটায় সুবিধা পাচ্ছি। এখন বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানেই ডিজিটাল পেমেন্ট সুবিধা আছে। তাই আগের মত শপিং করতে যাওয়ার সময় পকেট ভর্তি টাকা নিতে হয় না।

ডিজিটাল পেমেন্টে অভ্যস্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক কর্মকর্তা গোলাম বারিউল মুজিব নোবেল। কেবল কেনাকাটাই নয়, তার দৈনন্দিন লেনদেনের ৮০ শতাংই এখন হচ্ছে বিকাশে। সুযোগ হলে তিনি পুরোপুরিই ক্যাশলেস লেনদেন করতে চান।

dhakapost

তিনি বলেন, ঈদে বাড়ি যাব তাই অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কেটেছি। আমার বাড়ি রাজশাহী। চারজনের অগ্রিম টিকিট বিকাশে পেমেন্ট করেই কাটলাম। প্রতিদিনের বাজার স্বপ্ন ও আগোরার মতো চেইন সুপার শপ থেকে করি। আর পেমেন্ট করছি বিকাশে। বাচ্চার স্কুলের বেতন-ফি পরিশোধ, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল, অনলাইন কেনাকাটা, মোবাইল রিচার্জ ও বিভিন্ন কার্ডের বিল- সব কিছুরই পেমেন্ট করছি বিকাশে। অথচ এগুলো একসময় লাইন ধরে দাঁড়িতে পরিশোধ করতে হতো। অনুদান থেকে শুরু করে জরুরি সব প্রয়োজন, সকাল থেকে রাত সব সময়ের খরচায় বিকাশ এখন আমার কাছে ‘ক্যাশ টাকা’ হয়ে গেছে। 

বাজারের প্রয়োজন বা অন্য যেকোনো প্রয়োজনে ঢাকার রাস্তায় রাইড শেয়ারিং সেবার ওপর নির্ভর করেন নোবেল। সেখানেও বিকাশেই ভরসা রাখেন। তিনি বলেন, ভাংতি টাকা থাকল বা না থাকল এ নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই। অ্যাপের মাধ্যমে ডেকে গাড়ি ও মোটরবাইকে উঠে বসি। অ্যাপ থেকেই সরাসরি পেমেন্ট করা যায় বিধায় নামার সময়ও ঝামেলা থাকে না। আবার মাস শেষে যাতায়াত খরচের একটা হিসাবও থেকে যায়। বিকাশ পেমেন্টের এতসব সুবিধার কারণেই যাবতীয় খরচও আমি ক্যাশবিহীন করার চেষ্টা করি।

নোবেলের দৈনন্দিন জীবনের অংশ এখন বিকাশ। তিনি বলেন, আমার বাসায় গৃহকর্মী আছে। মাস শেষে তার বেতন বিকাশে দেই। এরপর তিনি সহজেই গ্রামে তার পরিবারের কাছে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে দেন। 

হঠাৎ জরুরি প্রয়োজনে কেউ টাকা চাইলে সেখানেও বিকাশেই ভরসা রাখেন তিনি। নোবেল বলেন, যার সঙ্গে লেনদেন হবে, আমি তাকে প্রথমে জিজ্ঞেস করি তোমার কি বিকাশ আছে? থাকলে বিকাশে লেনদেন করি আর না থাকলে তাকে পরামর্শ দেই খুব সহজে একটা বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে। এরপর লেনদেন করি।

বিপদের মুহূর্তে বিকাশ ব্যবহারের উদাহরণ টেনে নোবেল বলেন, আমার বাবা-মা গ্রামে থাকেন। হঠাৎ একদিন রাত ১০টায় বাবা ফোন করে বললেন বিশেষ প্রয়োজন, তিন হাজার টাকা লাগবে। সঙ্গে সঙ্গে বিকাশ করলাম। টাকা পেয়ে বাবাও খুশি, আমিও খুশি। এর মাধ্যমে বাবার প্রয়োজনও মিটল। দূরে থেকেও বাবার কাছে থাকার এ এক অপূর্ব সুযোগ। 

dhakapost

বিকাশে অনেক ব্যাংকে অ্যাড মানির সুবিধা মিলছে জানিয়ে নোবেল বলেন, আমি যেহেতু ব্যাংকে চাকরি করি, আমার স্যালারি ব্যাংকে হচ্ছে। আমি ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে সহজে বিকাশে অ্যাড মানি করছি। যখন যতটুকু প্রয়োজন ততোটুকু অ্যাড মানি করে নিশ্চিন্তে লেনদেন করতে পারি। 

নোবেল আরও বলেন, আমার স্ত্রী একজন উদ্যোক্তা। তার ছোট একটা ব্যবসা আছে। বিকাশ তার ব্যবসায়িক লেনদেনকে অনেক সহজ ও সুবিধাজনক করেছে। আমার ছোট্ট পরিবারের ছোট-বড় সব খরচেই নির্ভরতার নাম বিকাশ। ডিজিটাল লেনদেন জীবনকে এত সহজ করেছে যে, এখন ক্যাশ লেনদেনে চলার কথা ভাবতেই পারি না। সকাল থেকে রাত, আমার সব সময়ের, সব ধরনের খরচার সঙ্গী বিকাশ।

বিকাশ:

সারাদেশে প্রতিদিন নোবেলের মত কোটি মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার অংশ এখন বিকাশ। সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদের কেনাকাটাকে আরও সাশ্রয়ী আর রঙিন করে তুলতে প্রতি বছরের মতো এবারও অফার নিয়ে এসেছে বিকাশ। এখন কোটি মানুষের কাছে ঈদের কেনাকাটা মানেই বিকাশ পেমেন্টে মূল্য পরিশোধ।

বড় বড় মার্কেটগুলোর পাশাপাশি এখন অলি-গলির ছোট মুদি দোকানগুলোতেও বিকাশ পেমেন্টের সুযোগ রয়েছে। সঙ্গে অনলাইন কেনাকাটা তো আছেই। সারাদেশে বিকাশের প্রায় ৫ লাখ ৫০ হাজার মার্চেন্ট রয়েছে। এবারের ঈদের কেনাকাটায় বিকাশ পেমেন্ট করে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ৩০০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক ও ডিসকাউন্ট কুপন পেতে পারেন। আর রমজানের ইফতার-সেহরিতে আছে ১০০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com