কাগজপত্র ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছাড়া বিকাশ অ্যাপ থেকে পাঁচ ব্যাংক ও ব্যাংক বর্হিভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৩২ লাখের বেশি ডিপিএস খুলেছেন মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবাদাতা কোম্পানির গ্রাহকরা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিকাশ বলেছে, গত তিন বছরে সাপ্তাহিক ও মাসিক ভিত্তিতে পরিচালিত এসব ডিপিএস হিসাব খোলা হয়েছে।
ব্যাংক ও আর্থিক কোম্পানিগুলো হল-মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক ও আইডিএলসি ফাইন্যান্স।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এমএফএস কোম্পানি বিকাশে আইডিএলসি ফাইন্যান্সের মাসিক ডিপিএস দিয়ে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে যাত্রা শুরু হয় এ সেবার। এরপর পর্যায়ক্রমে যুক্ত হয় বাকি চারটি ব্যাংকের ডিপিএস। আর বিকাশ অ্যাপে সাপ্তাহিক ডিপিএস সেবা চালু হয় ২০২৪ এর প্রথমার্ধে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে অংশীজনদের নিয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বিকাশ।
এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, “কেন্দ্রীয় ব্যাংক পেমেন্ট সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট, পেমেন্টেকে আরও কার্যকরি করে তুলতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। বিকাশও এই প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখছে, সেজন্যও বিকাশকে ধন্যবাদ।”
আইডিএলসি ফাইন্যান্সের সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম জামাল উদ্দিন বলেন, “বিকাশের সাথে যুক্ত হওয়ার পর এত দ্রুত আমরা ১২ লাখ গ্রাহক পেয়েছি, যা এর আগে কখনো হয়নি। সঞ্চয়ের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের যে এত আগ্রহ তা বিকাশের সাথে আসার আগে আমরা বুঝিনি।”
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, “কোলাবোরেশন, কো-ক্রিয়েশন ছাড়া ভবিষ্যৎ অচল। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাংকের পক্ষে একা পৌঁছানো ব্যয়সাপেক্ষ। এমএফএস এই ব্যবস্থাকে সহজ করে দিয়েছে।”
ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মারুফ বলেন, “ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে জনগণকে ভরসার জায়গায় আনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে উৎসাহ ও প্রণোদনাও প্রয়োজন।”
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন, “ব্যাংক-এমএফএস কোলাবোরেশনের মাধ্যমে দেশের সব প্রান্তের মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে ব্যাংকিং সেবা।”
ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, “অন্য অনেক দেশের সাথে বাংলাদেশকে তুলনা করলে দেখা যায় সঞ্চয়ের হার এখনো বেশ কম। যার অর্থ হচ্ছে এই খাতে আরও কাজ করার সুযোগ আছে।”
অনুষ্ঠানে বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন, “সমৃদ্ধি শুরু হয় সঞ্চয় থেকে। যেদিন প্রথম এক টাকা সঞ্চয় হয়, সেদিনই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা শুরু হয়। বিকাশ অ্যাপে সেভিংসের সৌন্দর্যই এখানে।”
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠান ও ডিপিএসের ধরনভেদে (সাপ্তাহিক বা মাসিক) ৬ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৪ বছর মেয়াদে ২৫০ থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জমাতে পারছেন গ্রাহকরা।
বাংলা৭১নিউজ/একে