পদযাত্রার নামে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, সহিংস রাজনীতি, প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া, জনগণ ও পুলিশের ওপর হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষিত ৫ দিনের কর্মসূচির শেষ দিন বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা মহানগরে আসনভিত্তিক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ গুচ্ছ আয়োজনে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল ঢাকা-১১ আসনের নতুন বাজারে (ভাটারা থানা সংলগ্ন) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশ নেন।
এসময় যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, বিএনপি-জামায়াত সম্প্রতি তাদের পদযাত্রার নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে নৈরাজ্য ও প্রতিহিংসামূলক রাজনীতিতে অবতীর্ণ হয়েছে। এটা তাদের পুরোনো চরিত্র। যখনই বিএনপি-জামায়াত মাঠে নামে তখনই এ দেশের সাধারণ মানুষ জিম্মি করে অপরাজনীতি করার চেষ্টা করে। আমি মনে করি এ দেশের জনগণই বিএনপির প্রধান প্রতিপক্ষ। এ দেশের সাধারণ মানুষকে তারা বিভিন্ন সময়ে ভয়ভীতি এবং নৈরাজ্য সৃষ্টি করে, মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে শিকার বানানোর চেষ্টা করে। সেই প্রচেষ্টা এখনও বিদ্যমান।
তিনি আরও বলেন, এ দেশে একমাত্র প্রকৃত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং আমরা যুবলীগ সেই পথ অনুসরণ করি। আপনারা তাদের সব মিথ্যাচার ও অপরাজনীতির বিরুদ্ধে সজাগ থাকবেন, স্বোচ্চার থাকবেন।
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, আমরা আজ কেন শান্তি সমাবেশ, মিছিল করছি। এ শান্তি সমাবেশ দেশ ও জাতির কল্যাণে। আপনারা জানেন বিএনপি একটি জঙ্গি সংগঠন। এ সংগঠনের জন্ম হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার করার মধ্য দিয়ে। তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত।
তিনি আরও বলেন, যে সব বিদেশি বন্ধুরা বাংলাদেশকে জঙ্গিমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে দেখতে চান তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই-এ দেশের জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা বিএনপি-জামায়াত সৃষ্টি করেছিল। এ দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বিএনপি-জামায়াত ঘটিয়েছিল। আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ জঙ্গিমুক্ত। একারণেই বিএনপি-জামায়াতের কাছে তা ভালো লাগছে না। তারা আবারও মাঠে নেমেছে জঙ্গিবাদ, আগুন সন্ত্রাস, মানবাধিকার লঙ্ঘনের লক্ষ্যে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রফিকুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান পবন, মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু মুনির শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক শামছুল আলম অনিক, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হারিছ মিয়া শেখ সাগর, উপ-দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, সহ-সম্পাদক আহতাসামুল হাসান ভূইয়া রুমি, মনিরুল ইসলাম আকাশ, কার্যনির্বাহী সদস্য সরদার মোহাম্মদ আলী মিন্টু, ইঞ্জিনিয়ার মুক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল, মানিক লাল ঘোষ, এ বি এম আরিফ হোসেনসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতারা।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ